দুই ভর্তিচ্ছুর বিষয়ে অবগত চবি, আলোচনা করে সিদ্ধান্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে চান্স পেয়েছেন আশিক ও ফরহাদ নামে দুই ভর্তিচ্ছু। ইউনিটটিতে তাদের মেধাক্রম যথাক্রমে ৭৯ ও ২৪৯। জালিয়াতি করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর সাক্ষাৎকার দিতে এসে আটক হওয়া মোস্তফা কামাল উৎস নামে এক ভর্তিচ্ছু এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত দুই ভর্তিচ্ছুর বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। এ বিষয়ে চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দীকি জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের এ বিষয়ে আমরা জেনেছি। দুই ভর্তিচ্ছুর বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পড়ুন: জাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, সাক্ষাৎকার দিতে এসে আটক ১
অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কারো অভিযোগ কিংবা শুধুমাত্র গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে আমরা কোন ধরনের সিদ্ধান্ত জানাতে পারি না। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, আমরা এর সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছি। যেকোন বিষয়ে নিশ্চিত হতে সময়ের প্রয়োজন। কমিটির বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবো।
এর আগে, জালিয়াতি করে জাবি ভর্তি চান্স পাওয়ার পর আজ বুধবার বেলা ১১ টায় সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিলেন মোস্তফা কামাল উৎস। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ থেকে আটক করা হয়।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা কামাল বলেন, আমার আরও দুই বন্ধু আশিক ও ফরহাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। ‘ডি’ ইউনিটে তাদের মেধাক্রম ছিলো ৭৯ ও ২৪৯। তাদের মাধ্যমে জানতে পারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী ভাই ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম ভাইয়ের মাধ্যমে তারা ভর্তি হয়েছে।
পড়ুন: জালিয়াতি করে চবিতে চান্স পেয়েছেন মোস্তফার দুই বন্ধুও
এদিকে, জালিয়াতি করে চবিতে চান্স পাওয়া দুই শিক্ষার্থীর নাম ও মেধাক্রমে মিল রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে চবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অভিযোগ অনুযায়ী দুই ভর্তিচ্ছুর মেধাক্রম এবং নাম ঠিক আছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করবো। কমিটির অনুমতি পেলে আমরা দ্রুতই তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করবো।