বাতিল নাকি সংস্কার হবে ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট?

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাদ দিয়ে বিভাগ পরিবর্তনে অন্য ‘কৌশল’ প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অন্য ‘কৌশলের’ কথা জানান। এ সময় অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম সেখানে উপস্থিত থাকলেও উপাচার্যের বক্তব্যের বিষয়ে কিছু বলেননি।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘ঘ’ ইউনিট বাতিল হতে পারে— এমন আলোচনা গত বছর থেকেই চলছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকদের মতবিরোধও তৈরি হয়েছিল। এই প্রস্তাবকে অগ্রহণযোগ্য বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লেখালেখি, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের বিরোধিতা ও সংশ্লিষ্ট অনুষদের শিক্ষকদের আপত্তিতে গত বছর সুর পাল্টেছেন উপাচার্য।

এদিকে, আজ ‘ঘ’ ইউনিট থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল ও সাধারণ ভর্তি কমিটির একটি সিদ্ধান্ত আছে। সেটি হলো একই সঙ্গে কীভাবে এক শাখার শিক্ষার্থীরা অন্য শাখায় যেতে পারেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি কৌশল বের করার জন্য ইতিমধ্যে অনলাইন ভর্তি কমিটিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ডিনরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। পরীক্ষার সংখ্যা আমরা যত কমাব এবং বিষয়টি যত নিয়মের মধ্যে আনব, ভোগান্তি তত কমবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ফলে এখন কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।

উপাচার্য বলেন, কৌশল বের করতে হবে কীভাবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় আসতে পারেন। একই সঙ্গে কলার শিক্ষার্থী কীভাবে ব্যবসায় শিক্ষায় যেতে পারেন অথবা ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থী কীভাবে কলায় আসতে পারেন। সবাই কিন্তু সব জায়গায় পারেন না। শুধু বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় আসতে পারেন। ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা শুধু কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানে আসতে পারেন। কলার শিক্ষার্থীরা পারেন শুধু ব্যবসায় শিক্ষায় যেতে। এ জন্য আমাদের একটি নীতি ও কৌশল বের করতে হবে, তাহলে একটি পরীক্ষার বোঝা কমাতে পারব। পাঁচটি থেকে আমরা চারটি ইউনিটে চলে আসতে পারব। সেই সিদ্ধান্ত আছে, এখন একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি অনুমোদিত হলে আমরা তা বাস্তবায়ন করব।

উপাচার্যের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম  বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলে সংস্কার করার কথা বলা হয়েছিল, ‘ঘ’ ইউনিট বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ১৬টি বিভাগে ৩০০ জন শিক্ষক আছেন। মাননীয় উপাচার্য এটি করতে চাইলে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সেটি করা উচিত। আমি সেটাই প্রত্যাশা করছি।


সর্বশেষ সংবাদ