১০ নভেম্বর ২০২১, ২১:২০

গুচ্ছে পরীক্ষা পরবর্তী ফি বাতিলসহ ৩ দফা দাবিতে যশোরে মানববন্ধন

মানববন্ধন   © টিডিসি ফটো

গুচ্ছভুক্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত ভর্তি ফি কমানোরসহ ৩ দফা দাবীতে   বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১.০০ টাই যশোর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

ফারজানা রহমান ইভা নামে এক ভর্তিচ্ছু বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ভোগান্তি কমানোর পরিবর্তে কয়েকগুন বাড়িয়েছে। রেজাল্ট দিয়েছে কিন্তু কোন মেরিট পজিশন দেয়া হয়নি। একজন শিক্ষার্থী মেরিট পজিশন না পেলে নিজের অবস্থান কিভাবে বুঝবে আর না বুঝে আবেদনই বা কিভাবে করবে।’

তিনি আরও বলেন, যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদনের সার্কুলার প্রকাশ হয়েছে। সার্কুলারে বিজ্ঞানসহ সকল বিভাগের প্রতিটি অনুষদে আবেদন ফি ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এইভাবে ৫ টি অনুষদে আবেদন করতে ৩৩০০ টাকা লাগবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি তিন চার হাজার  টাকা লাগে তাহলে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন  অনুষদে আবেদন‌ করতে অনেক টাকা লেগে‌ যাবে— যা একজন মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য একেবারেই সম্ভব নয়।’

ফারজানা রহমান ইভা আরও বলেন, ‘অনেকেই বলতে পারে একজন শিক্ষার্থী এতোগুলো ভার্সিটিতে আবেদন করবে না। কিন্তু যেহেতু আমাদের কোন মেরিট পজিশন দেয়নি তাই কারো বোঝার কোন উপায় নেই যে কে কোথায় চান্স পেতে পারে। তাই বাধ্য হয়ে সবাইকেই আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্ষতি হবে শুধু মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের।’ 

মঈনুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গুচ্ছ পরীক্ষা পরবর্তী ভর্তি আবেদনের নির্দেশিকায় যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক অনুষদে  জন্য ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত টাকা লাগে তাহলে ২০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করতে কত টাকা লাগবে সেটি বোঝাই যাচ্ছে। মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে এত টাকা দিয়ে আবেদন করা সম্ভব হবে না। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েও অনেকে আবেদন করতে পারবেন না। এতে করে আমাদের স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে। ভোগান্তি কমানোর কথা থাকলেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আমাদের ভোগান্তি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।’

ভর্তিচ্ছু  শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তো ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারপরও ভর্তি ফি নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাণিজ্যিক মানসিকতারই প্রকাশ। গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর সময় বলা হয়েছিল- অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি- দৌড়ঝাঁপ, আর্থিক চাপ কমাবে এই পরীক্ষা পদ্ধতি। কিন্তু এমন ফি আদায়ের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে আরো বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হলো। করোনার এই সংকটে এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীনতায় পরিবারগুলো যখন দিশেহারা তখন এরূপ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানবিক নয়।’ 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা সেকেন্ড টাইম ভর্তি বহাল রাখার দাবি উত্থাপন করে ভর্তি ফি প্রত্যাহার করা না হলে আগামী দিনে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন।