এবার ‘ক’ ইউনিটে প্রথম সিয়ামকে নিয়ে দুই কোচিংয়ের টানাটানি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মেফতাহুল আলম সিয়াম নামে এক শিক্ষার্থী। ফল প্রকাশের পর দুটি কোচিং সেন্টার সিয়ামকে তাদের ছাত্র বলে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। পরে সিয়াম ওই দুই কোচিং সেন্টারের মধ্যে একটি ‘উদ্ভাস কোচিং সেন্টারের’ সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসে জানায় যে, সে উদ্ভাসেই কোচিং করেছে।
এদিকে অন্য একটি কোচিং সিয়ামকে তাদের ছাত্র বলে দাবি করেছে। ওই কোচিংয়ের দায়িত্বে থাকা এক কর্তাব্যক্তি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, সিয়াম তাদের বগুড়া শাখায় কিছুদিন ক্লাস করেছিল।
তবে ফেসবুক লাইভে মেফতাহুল আলম সিয়াম উদ্ভাস কোচিং সেন্টারকে কৃতিত্ব দিয়ে তার সাফল্যে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান। সিয়াম বলেন, যখন রেজাল্ট দিল আমি তখন সেলুনে চুল কাটছিলাম। সেই মুহুর্তে উদ্ভাস কোচিংয়ের বড়ভাই আমাকে ফোন করে খুশির খবরটি জানান।
প্রথম হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে সিয়াম আরও বলেন, পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছিল। কিন্তু এতোটা ভালো হবে তা চিন্তা করিনি। এজন্য প্রথমে আমি সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবো। তাপরপর বাবা-মা কাছে প্রতি কৃতজ্ঞ আমি। তাদের সহায়তা ছাড়া আমি এতো দূর আসতে পারতাম না। আমার শিক্ষকদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বগুড়া আজিজুল হক সরকারি কলেজের ছাত্র সিয়াম ভর্তি পরীক্ষায় ৯৭ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়েছে। ১২০ নম্বরের মধ্যে তার মোট স্কোর: ১১৭ দশমিক ৭৫। মেধাবী ছাত্র সিয়াম চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতেও (আইইউটি) ১ম এবং মেডিকেলে ৫৯তম হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবারও (২ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার পর বিরূপ এক পরিস্থিতির মুখে পড়েন মো. জাকারিয়া নামের এক শিক্ষার্থী।
একটি কোচিং সেন্টার জাকারিয়াকে তাদের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে জোর করে তুলে নিতে চেয়েছিল বলে জানায় সে। এসময় তাকে শারীরিকভাবে আঘাতও করা হয়।
উল্লেখ্য, আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর ‘ক’ ইউনিটে পাসের হার ১০.৭৬ শতাংশ, আর পাশ করেছেন ১০ হাজার ১৬৫ জন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।