অন্যের হয়ে রাবি ভর্তি পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছেন মাসুদ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় শিফটে এক ভর্তি পরীক্ষার্থীর বদলে পরীক্ষা (প্রক্সি) দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন মো. মাসুদ সরকার নামে কলেজ পড়ুয়া এক মাস্টার্সের ছাত্র। রবিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নিচতলায় লাইব্রেরি থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ গত শুক্রবার ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। চবিতে ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় জুলকার নাইন শাহীর বদলি হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
এক্ষেত্রে জালিয়াত চক্রের মূল হোতা হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ওমর ফারুকের নাম উল্লেখ করেন। এছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাসেল সরকার ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়াও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে মাসুদ জানান।
পড়ুন: গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ নিয়েও এক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করেছেন মাসুদ
মাসুদ সরকার জানান, টাকার বিনিময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় অন্যের হয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে মাসুদকে সহযোগিতা করতো জালিয়াত চক্রের একটি বড় সিন্ডিকেট। তারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী খুঁজে বের করে বিভিন্ন ধাপে কাজ করত।
জিজ্ঞেসাবাদে মাসুদ জানিয়েছেন, তিনি এ বছরের গুচ্ছ পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্যের বদলে পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রত্যেকটি থেকে অগ্রিম নিয়েছেন তিন হাজার টাকা করে। সেগুলোতে সফলভাবে উতরেও গেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়। তবে আমরা সন্দেহবশত অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটকে রাখি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ স্বীকার করেছে সে জালিয়াতি চক্রের সদস্য। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতি করে পার পায়নি।