শেষ হলো গুচ্ছ পরীক্ষা, এবারের ভুলগুলো আগামীতে সংশোধন হবে: শাবি উপাচার্য

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

শেষ হলো প্রথমবারের মতো সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। সোমবার (১ নভেম্বর) ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) পরীক্ষার মাধ্যমে এই ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়। 

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) ও ২৪ অক্টোবর ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গুচ্ছের শুরু থেকেই হঠাৎ করে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট না রাখার সিদ্ধান্ত, পরীক্ষার মনোনয়নের জন্য সিজিপিএ বেশি রাখা, পরীক্ষার ফি বাড়িয়ে দ্বিগুণের অধিক করা, পরীক্ষা কেন্দ্র অনেকের নিজ নিজ এলাকায় না পড়া, কর্মদিবসে পরীক্ষা, ফলাফলে অসামঞ্জস্যতা এবং অভিযোগ গ্রহণের নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় শিক্ষার্থীদের নানান অভিযোগ ছিলো। তবে সব ত্রুটি ছাপিয়ে পূর্বের বড় ভোগান্তি থেকে নিস্তার পেয়েছেন বলে জানান অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ত্রুটি থাকলেও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা মনে করেন, ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া অনেক সময়ের ব্যাপার। আর্থিক দিক থেকেও অনেক ব্যয়বহুল। যাতায়াত, থাকা ও খাওয়ার ঝামেলা তো বলার মত না। এবারের পরীক্ষায় যে সকল ভুলত্রুটি হয়েছে, এর থেকে শিক্ষা নিলে পরবর্তীতে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এই পরীক্ষা পদ্ধতি।

সার্বিক বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিরুদ্ধে একটি চক্র কাজ করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কাজ করছি। ঠিকভাবে ধরলে ৫০০ জনের মতো শিক্ষার্থীর খাতা বাদ পড়ে যেত। কিন্তু ৪-৫ জনের খাতা বাদ পড়েছে। আর দূরের কেন্দ্রে মাত্র ২% শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। আমাদের প্রথম গুচ্ছ পরীক্ষা। কিছু ভুল থাকতে পারে। আগামীতে সেগুলো সংশোধন করা হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে করোনা থাকায় সশরীরে অনেক সভা করা যায়নি। প্রথমবারের ভুলত্রুটিগুলো সংশোধন করলে পরেরবার থেকে অনেক ভালোভাবে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব। এমনিতে একজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার যে ভোগান্তি, তা থেকে সবাই রেহাই পেয়েছে।

গুচ্ছ পরীক্ষার প্রথম থেকে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে একসাথে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ প্রথমে সাদরে গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। 

তবে পরীক্ষার প্রস্তুতির দীর্ঘদিন পর সিদ্ধান্ত হয় বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট থাকবে না। এতে করে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিটের জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি নেয়া শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করে। তবে গুচ্ছের সে সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। 

 


সর্বশেষ সংবাদ