গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ নিয়েও এক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করেছেন মাসুদ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় শিফটে এক ভর্তি পরীক্ষার্থীর বদলে পরীক্ষা (প্রক্সি) দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন মো. মাসুদ সরকার নামে কলেজ পড়ুয়া এক মাস্টার্সের ছাত্র। রবিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নিচতলায় লাইব্রেরি থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুহম্মদ ইয়াকুব গণমাধ্যমকে বলেন, মাসুদ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছেন। যাঁর হয়ে অংশ নেন, তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ কথা মাসুদ স্বীকার করেছেন। জুলকারনাইনের সঙ্গে তাঁর ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসেন।
পড়ুন: ভুলে ভরা গুচ্ছ কমিটি প্রমাণ করল ‘তারা ব্যর্থ’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষার্থী জুলকারনাইন শাহীর পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে আসেন এ মাসুদ সরকার। জুলকারনাইন শাহী ঢাকার ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। প্রক্সি দেওয়া মাসুদ মো. আব্দুল কাদেরের ছেলে। তার বাড়ি গাইবান্ধার ঝিনিয়াবাজার, সুন্দরগঞ্জে। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
পড়ুন: কিউআর কোডে ছেলে, পরীক্ষা দিতে এলেন মেয়ে
পড়ুন: বিসিএসের প্রিলি দিয়েই চবি ভর্তি পরীক্ষায় বসলেন মাসুদ!
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন ২টা ১৫ মিনিটে। মাসুদও কেন্দ্রে যথাসময়ে উপস্থিত হন। সঙ্গে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ছবিসহ যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আসেন। তবে এসবই ছিল ভুয়া।
মুহম্মদ ইয়াকুব আরও বলেন, মাসুদের সঙ্গে আরও আছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক একজন শিক্ষার্থী। তিনিও অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন। মাসুদকে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কি না, জেনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ‘ডি’ ইউনিটভুক্ত বিভিন্ন অনুষদের চার শিফটে দ্বিতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন ৩য় শিফট সকাল ৯:৪৫টা থেকে ১২টা এবং ৪র্থ শিফট দুপুর ২:১৫টা থেকে ৪:৩০টা পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।