গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

‘ওরা আমার ভবিষ্যৎ পুড়িয়েছে’ বলেই প্রবেশপত্রে আগুন নাহিদের

গুচ্ছের প্রকাশিত ফলে গড়মিলের অভিযোগ এনে ফেসবুক লাইভে এসে প্রবেশপত্র 
পুড়িয়েছেন এক ভর্তিচ্ছু
গুচ্ছের প্রকাশিত ফলে গড়মিলের অভিযোগ এনে ফেসবুক লাইভে এসে প্রবেশপত্র পুড়িয়েছেন এক ভর্তিচ্ছু  © সংগৃহীত

গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক বিভাগ) ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তবে ফলাফল প্রকাশের পরই শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

প্রকাশিত ফলাফলে গড়মিলের অভিযোগ এনে ফেসবুক লাইভে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়িয়েছেন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া রংপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করা মোহাম্মদ নাহিদ নামের এক শিক্ষার্থী।

ভর্তি পরীক্ষায় এ শিক্ষার্থী বাংলা অংশে ৪০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের মধ্যে ৩৪ টির বৃত্ত ভরাট করলেও ফলাফলে দেখানো হয়েছে উত্তরপত্রে ৩৮টি বৃত্ত ভরাট করেছেন তিনি। আবার ইংরেজি অংশে এ শিক্ষার্থী ৩৩টি প্রশ্নের জন্য বৃত্ত ভরাট করলেও এ অংশে ২৩টি বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে বলে ফলাফলে দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষার আইসিটি অংশে নাম্বার নিয়েও অভিযোগ করেছেন এ শিক্ষার্থী।

পড়ুন: ভুলে ভরা গুচ্ছ কমিটি প্রমাণ করল ‘তারা ব্যর্থ’

মঙ্গলবার বিকেলে ফল প্রকাশের পর ফেসবুক লাইভে এসে প্রবেশপত্রে আগুন ধরিয়ে দেন নাহিদ। তিনি বলেন, এইরকম ফলাফলের কোনো মানে হয়না। এভাবে আমার ভবিষ্যৎ ওরা (ভর্তি আয়োজক কমিটি) যেমন পুড়িয়েছে আমিও না হয় কিছুটা পুড়লাম। কোন আস্থা আর বিশ্বাসে আমি দ্বিতীয়বার ফলাফলের জন্য আবেদন করব?

তিনি বলেন, আমি প্রথমবার কি অপরাধ করেছিলাম? কিন্তু আমাদের সবার সঙ্গে তারা এটা কি করেছে? ভেবেছি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনেক স্বচ্ছ হবে কিন্তু প্রকৃত অর্থে কিছুই হয়নি।

শুধু নাহিদ নয়, একই দিন বিকেলে ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের পরপরই গড়মিলের অভিযোগ করেন অনেক শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, পরীক্ষায় ভরাটকৃত প্রশ্নের সঙ্গে ফলাফলের মিল নেই। আবার প্রশ্ন ভরাটের চাইতে অনেকে বেশি নাম্বার পেয়েছেন তাই পূণরায় ফলাফল যাচাইয়ের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করেছে গুচ্চ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটি। সংশোধিত ফলাফলে দেখা যায়, সর্বমোট বৃত্ত ভরাটের সংখ্যা ঠিকঠাক আসলেও সর্বমোট নাম্বারে অনেক কম আসছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ নাহিদ।

তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষে আমি উত্তর মিলিয়ে দেখলাম আমার সর্বমোট ৫৮ নাম্বার থাকবেই। কিন্তু সংশোধিত ফলাফলে আমার নাম্বার আগের মতোই ৪০ দশমিক ৫০ এসেছে। সংশোধিত ফলাফল তারা নতুন করে বাংলার মার্ক ইংরেজি অংশে আর ইংরেজি অংশের মার্ক বাংলা অংশে দিয়েছে। কিন্ত তারাতো আর খাতা পূণরায় যাচাই করেনি। আমি ইংরেজিতে আরও অনেক নাম্বার পাব।

পড়ুন: গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল নিয়ে অসন্তোষ, থাকছে চ্যালেঞ্জের সুযোগ

তবে সংশোধিত ফলাফলে সর্বমোট উত্তর দেওয়ার সংখ্যা মিললেও ফলাফলে এখনো ভুল দেখাচ্ছে বলে নাহিদের মতো অভিযোগ করেছেন রায়হান চৌধুরী নামের আরেক শিক্ষার্থী।

তিনি জানান, সংশোধিত ফলাফলে সর্বমোট ৬৬ দশমিক ৫০ নাম্বার দেখালেও পরীক্ষা শেষে যাচাই করে দেখেছেন ইংরেজি অংশে তার মাত্র ১ টা নৈর্ব্যক্তিক ভুল হলেও এখন দেখাচ্ছে ৫টা ভুল হয়েছে। আবার বাংলা অংশে ৩ ভুল হওয়ার কথা থাকলেও এখানে দেখাচ্ছে ৯ টা ভুল হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ