শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অদম্য শাহনাজের এগিয়ে চলা

অদম্য শাহনাজের এগিয়ে চলা
অদম্য শাহনাজের এগিয়ে চলা  © সংগৃহীত

ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ছোটবেলা থেকে হাঁটতে পারেনা শাহনাজ আক্তার। নিজে হেঁটে কখনও স্কুল-কলেজে যেতে পারেনি। জন্ম থেকে অন্য দশজনের মতে হেসে-খেলে দৌঁড়াতে বা বেড়াতে যেতে পারেনি। সে অন্যদের চেয়ে আলাদা। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি ছিল তার অদম্য আগ্রহ। হাজারো প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এবার অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায়।

মা নূরজাহানের অনুপ্ররণায় শাহনাজ আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার স্বপ্ন দেখে। মেয়ের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন তিনি।

গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে। কুমিল্লার লালমাই উপজেলার মেয়ে শাহনাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে পরীক্ষা দেন।

তিনি আমেনা বেগম গার্লস স্কুল থেকে ৪ দশমিক ৪৪ এবং লালমাই সরকারি কলেজ থেকে ৪ দশমিক ৭৫ জিপিএ পেয়ে কৃতকার্য হন। এবার অংশ নিয়েছেন গুচ্ছভিত্তিক সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায়। সকালে হুইল চেয়ারে বসে মাকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেন এই শিক্ষার্থী। পরে স্বেচ্ছাসেবকদের সহয়তায় পরীক্ষা কক্ষে গিয়ে পরীক্ষা দেন।

পরীক্ষা শেষে কথা হয় শাহনাজের সঙ্গে। তিনি জনান, আমি ছোটবেলা থেকে হাঁটতে পারি না। আমি পড়াশোনা করতে চাই। পড়াশোনা করে আমার মতো পিছিয়ে থাকা শারীরিকভাবে অপূর্ণাঙ্গদের নিয়ে কাজ করতে চাই। আমার এতদূর আসার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার মায়ের। আমার এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা মা। মায়ের প্রবল প্রচেষ্টায় আমি এতদূর আসতে পেরেছি। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।

শাহনাজের মা নূরজাহান জানান, ছোটবেলা থেকে শাহনাজ পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী। প্রবল ইচ্ছায় সে এতদূর আসতে পেরেছে। পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ দেখে আমি তাকে থামিয়ে দিইনি। সব সময় আশা করি, আমার মেয়ে ভালো কিছু করবে।


সর্বশেষ সংবাদ