গুচ্ছ ভর্তিচ্ছুদের আগাম প্রশ্ন দেয়ার প্রলোভন ফেসবুকে

সুমন নামে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। সে প্রশ্নে ৯০ শতাংশ কমন পড়েছে বলে দাবি তার
সুমন নামে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। সে প্রশ্নে ৯০ শতাংশ কমন পড়েছে বলে দাবি তার  © সংগৃহীত

আগামীকাল রবিবার (১৭ অক্টোবর) ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে প্রথমবারের মতো এবার (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। তিন দিনে তিনটি গ্রুপের পরীক্ষা হবে।

‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষাকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগমাধ্যমগুলেতে ‘প্রশ্নসহ উত্তরপত্র’ ও ‘সাজেশন’ বিক্রির পোস্ট, লোভে পড়ে টাকা দিয়ে ধরাও খাচ্ছেন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ। তবে এ বিষয়ে সতর্ক করে কর্তৃপক্ষ বলছে- ‘প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগই নেই’।

একের পর এক ফেসবুক গ্রুপে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার প্রচারণার ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়ানোদের একজন তাইজুল হাসান। তিনি বলেন, “সাজেশনের জন্য আমি আর আরেকজন মিলে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। একজনকে ওরা ব্লক করে দিয়েছে শুনে আমি কথা বলতে গেছিলাম, তারপর আমাকেও ব্লক করে দিয়েছে। সাজেশনও পেলাম না, টাকাও গেল।

পড়ুন: ‘এ’ ইউনিট: আসন সংখ্যা ১২,৪৯১, আবেদনকারী ১,৩১,৯০৫

এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমদ নূর বলেন, উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস অনুসারে পরীক্ষা হবে। বাইরে থেকে কিছু আসার সুযোগ নেই। আমাদের কাছে কেউ কমপ্লেইন করলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাব।

পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে ফেসবুকের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন গ্রুপে শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিশ্চয়তার প্রলোভন দেখিয়ে সাজেশন এবং প্রশ্নপত্র দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকটি পোস্টে পরীক্ষার আগের রাতে ‘সাজেশন’ পেতে শিক্ষার্থীদের ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে অপরাধ দমন করতে, অপরাধীদের চিহ্ণিত করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ছেলেমেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়াটা জীবন-মরণ ব্যাপার। তারা নিজেরা প্রস্তুতি নেওয়ার পরও সুযোগ সুবিধার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, যারা প্রশ্ন দেওয়া, ভর্তি করিয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেবে বলে; শেষ পর্যন্ত তারা তা করতে পারে না। আর করলেও এমন একটা পন্থায় যায়, এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎই নষ্ট হয়ে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ