গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিট

আসন সংখ্যা ১২,৪৯১, আবেদনকারী ১,৩১,৯০৫

‘এ’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে আগামীকাল ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে
‘এ’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে আগামীকাল ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে  © ফাইল ফটো

২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল। বেলা ১২টা থেকে ১ ঘন্টার এ পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে ভর্তিযুদ্ধে লড়বেন ১০ জন ভর্তিচ্ছু। ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটে সর্বমোট ১২,৪৯১টি আসনের বিপরীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষার আসনবিন্যাস মতে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৭১০ জন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১৬৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০৯১৫ জন, শেরে-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০০০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০০ জন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১৫৩৯ জন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০০ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭১০৮ জন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৪৯৩ জন।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০০০ জন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০৪৫ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০০ জন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৮৫ জন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০২৫ জন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৫১৩ জন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪৬২ জন,কুৃমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫০৫ জন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৬৮৮ জন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০০০ জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০০০ জন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০০ জন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯১২ জন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪৫৮ জন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০০ জন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০০ জন ভর্তি পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কাল, আসনপ্রতি লড়বেন ১০ জন

গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পরীক্ষা নেয়ার জন্যে আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি রয়েছে। সময়মতো পরীক্ষা শুরু করতে যেন কোনো বেগ পেতে না হয়, সেজন্য আমরা অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তার সাথে সকল কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র ও উপস্থিতি তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মকর্তা, আর্মড ফোর্সেস পুলিশের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছি। প্রশ্নপত্রের ট্র্যাংকে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম জুড়ে দিয়েছি; যেন প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় থাকে। পাশাপাশি প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা প্রদানে পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

শাবি উপাচার্য জানান, পরীক্ষা পরবর্তী ২-৩ দিনের ভিতরে ফলাফল দিয়ে দেওয়া হবে। র‌্যাংকের ভিত্তিতে ফল প্রকাশ না করে ১০০ নম্বরের মাঝে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা হবে। পরবর্তীতে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ডিশন অনুযায়ী স্কোরের ভিত্তিতে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের বিষয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। বিভাগ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরবর্তীতে তাদের নিজেদের প্রণিত নীতিমালার প্রণয়ন করবে। সেসব শর্ত মেনে শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তন করে অন্যান্য বিভাগের পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে।


সর্বশেষ সংবাদ