৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:১৪

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় মানবন্টন যেভাবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ। শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইউনিটে এবার মোট ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। সেখানে মূল পরীক্ষায় (বহুনির্বাচনী ও লিখিত) ১০০ নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ১০ নম্বর করে মোট ২০ নম্বর থাকবে। (মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ২ দিয়ে গুণ; উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ২ দিয়ে গুণ করে এই দুইয়ের যোগফল)

ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে। উভয় অংশের জন্য ৪৫ মিনিট করে সময় থাকবে। তবে চ ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার রাজধানী ঢাকা ছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ছাড়া অন্য যে সাতটি বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা হবে।

বাকি কেন্দ্রগুলো হলো- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর)৷

বিভাগীয় শহরের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিত কেন্দ্রে নির্ধারিত তারিখে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মান ও সময় বন্টন

I. বহুনির্বাচনী পরীক্ষা: বহুনির্বাচনী অংশে মোট নম্বর ৬০ এবং সময় ৪৫ মিনিট। প্রতিটি বিষয়ে মোট নম্বর ১৫। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১।

II. লিখিত পরীক্ষা: লিখিত অংশে মোট নম্বর ৪০ এবং সময় ৪৫ মিনিট। প্রতিটি বিষয়ে মোট নম্বর ১০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ২ থেকে ৫ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

ভর্তি পরীক্ষার এমসিকিউ অংশের পাস নম্বর ২৪। এমসিকিউ পরীক্ষায় ২৪ নম্বর পেলেই কেবল লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হবে। তবে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে ‘ক’ ইউনিটের মোট আসনের কমপক্ষে ৫ গুণ লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে।

লিখিত অংশের পরীক্ষায় পাস নম্বর ১২। তবে ১০০ নম্বরের মধ্যে এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষায় মোট পাস নম্বর ৪০। যারা ৪০ এর কম নম্বর পাবে তাদেরকে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না।

‘ক’ ইউনিটের ক্ষেত্রে আরও কিছু নির্দেশনা

(১) ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল ১ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১১টায় শুরু হবে। পরীক্ষার মোট সময় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট। পরীক্ষা এমসিকিউ এবং লিখিত উভয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ১০০। তন্মধ্যে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে। এমসিকিউ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিটের হবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রকার ক্যালকুলেটর বা তদ্রূপ কিছু ব্যবহার করা যাবে না।

(২) ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে এবং নিম্নলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করা হবে:

(৩) প্রত্যেক প্রার্থীকে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ মোট ৪টি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতি বিষয়ের জন্য মোট বরাদ্দ নম্বর ২৫। তন্মধ্যে এমসিকিউ অংশের জন্য ১৫ এবং লিখিত অংশের জন্য ১০ নম্বর থাকবে।

(৪) এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে। যে সকল প্রার্থী উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমমানের পর্যায়ে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেছে তারা এ সকল বিষয়ে পরীক্ষা দেবে।

তবে কোনো পরীক্ষার্থী ইচ্ছা করলে শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪র্থ বিষয়ের পরিবর্তে বাংলা অথবা ইংরেজি যেকোনো একটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এখানে উল্লেখ্য যে, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে পরীক্ষা দেয়া আবশ্যিক।

(৫) এ লেভেল পর্যায়ে অধ্যয়নকৃত পরীক্ষার্থী পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নসহ অন্য (গণিত/জীববিজ্ঞান/বাংলা/ইংরেজি বিষয়ের মধ্যে) যেকোনো দুইটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে মোট চারটি বিষয় পূর্ণ করবে।

(৬) একজন প্রার্থী যে ৪টি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দিবে তার উপর নির্ভর করবে সে কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হতে পারবে।

‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মান ও সময় বন্টন

খ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশে ৬০ নম্বরের বিপরীতে সময় ৪০ মিনিট। এক্ষেত্রে বাংলা/ইলেক্টিভ ইংলিশে ১৫টি প্রশ্নের বিপরীতে ১৫ নম্বর, জেনারেল ইংলিশে ১৫টি প্রশ্নের বিপরীতে ১৫ নম্বর, সাধারণ জ্ঞানে ৩০টি প্রশ্নের বিপরীতে ৩০ নম্বর। মোট ৬০টি প্রশ্নে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে যারা জিসিই বা এ লেভেল পাস করেছে কেবল তারাই ইলেক্টিভ ইংলিশ অংশের উত্তর দেবে।

খ ইউনিটে ৪০ নম্বরের বিপরীতে সময় থাকবে ৪৫ মিনিট। এক্ষেত্রে বাংলা বা ইলেক্টিভ ইংলিশে ২০ নম্বর এবং জেনারেল ইংলিশে ২০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। লিখিত অংশেও যারা জিসিই বা এ লেভেল পাস করেছে কেবল তারাই ইলেক্টিভ ইংলিশ অংশের উত্তর দেবে।

খ ইউনিটে ভর্তি-পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে পাস নম্বর ৪০। প্রার্থী ৪০ নম্বর না পেলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। একইসঙ্গে ভর্তি-পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী এমসিকিউ অংশে বাংলায় ন্যূনতম ০৫ নম্বর, জেনারেল ইংলিশে ন্যূনতম ০৫ নম্বর, সাধারণ জ্ঞানে ন্যূনতম ১০ নম্বর এবং কমপক্ষে সর্বমোট ২৪ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবে। ‘এ’ লেভেল সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে বাংলা বিষয়ের বিকল্প হিসেবে ইলেক্টিভ ইংলিশে ন্যূনতম ০৫ নম্বর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পেতে হবে।

পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার অংশে ন্যূনতম ১১ নম্বর পেতে হবে। এর মধ্যে বাংলা অংশে ন্যূনতম ৫ এবং জেনারেল ইংলিশে ন্যূনতম ৫ পাওয়া আবশ্যক ‘এ’ লেভেলের ক্ষেত্রে উল্লিখিত শর্ত সমভাবে প্রযোজ্য হবে। প্রার্থীকে মনে রাখতে হবে যে, প্রতি চারটি ভুল উত্তরের জন্য একটি শুদ্ধ উত্তরের নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।