ডুয়েটে সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা শুরু
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) এ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ২০২০-২১ সেশনের ১ম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং/বি.আর্ক প্রোগ্রামের প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বাকি পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই শিফটে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও কেমিক্যাল অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেটারিয়ালস এন্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ মোট ৪ বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামীকাল ৩০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) যথানিয়মে প্রথম শিফটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার এবং দ্বিতীয় শিফটে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসহ মোট ৫টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রুমা জানান, এবারের দুই দিনব্যাপী ৪ শিফটের ৯টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এতে যথাক্রমে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং- ১২০টি আসনের বিপরীতে ১৩৪৬ জন, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-১২০টি আসনের বিপরীতে ১৭৮৫ জন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-১২০টি আসনের বিপরীতে ১২৮৩ জন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-১২০টি আসনের বিপরীতে ১০৬৪ জন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-৬০টি আসনের বিপরীতে ২৯১ জন।
এছাড়া ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার-৩০টি আসনের বিপরীতে ১৫২ জন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-৩০টি আসনের বিপরীতে ৫৪৫জন, কেমিকেল অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং-৩০টি আসনের বিপরীতে ১৮২ জন, এবং মেটারিয়ালস এন্ড মেটালর্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-৩০টি আসনের বিপরীতে ৪৩৫ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
অধ্যাপক ড. রুমা বলেন, ডুয়েটে সাধারণত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা ইতিপূর্বে সকল বিভাগের একই দিনে অনুষ্ঠিত হলেও এবারের পরিবেশ পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। তাই পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও শারিরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একদিনের পরিবর্তে আমরা দুইদিনে মোট ৪টি শিফটে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রথম দিনের পরীক্ষায় ৪টি বিভাগে উপস্থিতির পরিমাণ ৯৫% এর বেশি। উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কারো কোনরূপ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ লক্ষ্য করা যায়নি বলেও জানান অধ্যাপক রুমা।