ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের হলে রাখার ব্যবস্থা করছে রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের সম্মান ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ছাত্রী ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আবাসিক হলে থাকার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম টিপু গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের হলগুলোতে সংস্কার কাজ চলমান। ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে আমরা হলগুলো পরিদর্শন করেছি। মেয়েদের আবাসিক হলগুলোর কমন স্পেসগুলোতে আমরা ছাত্রী ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের থাকার ব্যবস্থা করবো। এ লক্ষ্যে আমরা হলগুলো পরিচ্ছন্নকরণের উদ্যোগ নিয়েছি।
অধ্যাপক টিপু বলেন, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের থাকার জন্য ইতোমধ্যে হলে থাকার উপযোগী জায়গাগুলোতে আমরা ফ্যান, লাইট লাগাচ্ছি। আশা করছি ৩ অক্টোবর থেকেই আমরা মেয়েদের হলগুলোতে ছাত্রী ভর্তিচ্ছুদের রিসিভ করতে পারবো।
পড়ুন: ঢাবি-জাবি-রাবি-চবি কিংবা গুচ্ছ— ইংরেজিতে ভাল নম্বর পাওয়ার কৌশল
এদিকে, আগামী ৪ অক্টোবর শুরু থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। শেষ হবে ৬ অক্টোবর। এবারে ৪, ৫ ও ৬ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থী।
প্রকাশিত রুটিন থেকে জানা যায়, আগামী ৪ অক্টোবর (সোমবার) ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি শিফটে এই ইউনিটের পরীক্ষা হবে। প্রথম শিফটে পরীক্ষা সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সাড়ে ১০টায়।
প্রথম শিফটে বিজ্ঞানের গ্রুপ-১–এর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১টায়। এই শিফটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন বিজ্ঞানের গ্রুপ-২–এর শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা বেলা তিনটায় শুরু হয়ে শেষ হবে চারটায়। এ শিফটে বিজ্ঞানের গ্রুপ-৩–এর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
এরপর ৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষাও তিনটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এ ছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর (বুধবার) ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে তিনটি শিফটে।
এ বছর ৮০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় এসএসসি-এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ওপর কোনো নম্বর থাকছে না। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় মোট ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে, সময় এক ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের মান এক দশমিক ২৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের দশমিক ২০ করে নম্বর কাটা হবে। অর্থাৎ, ৫টি ভুল উত্তরের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০।