আবেদন ফি জমা না দেওয়া ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে যা বলছে গুচ্ছ কমিটি
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রথম ধাপের চূড়ান্ত আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তবে নানা কারণে অনেকেই চূড়ান্ত আবেদন করেও ফি জমা দিতে পারেননি। টাকা জমা দিতে না পারা শিক্ষার্থীরা ফি জমা দেওয়ার সুযোগ দাবি করেছেন। তবে প্রথম ধাপের আবেদন ফি জমা দেওয়ার আর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
আবেদনের ফি জমা দিতে না পারা শিক্ষার্থীরা বলছেন, সময় শেষ হওয়ার আগেই তারা আবেদন করেছেন। তবে পারিবারিক সমস্যা, টাকা জোগার করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে তারা আবেদন ফি জমা দিতে পারেননি। তাই আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর দাবি তাদের।
তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি বলছে, তারা আর পেছনে ফিরে তাকাতে চান না। আবেদন করা এবং ফি জমাদানের জন্য শিক্ষার্থীদের সাতদিনের বেশি সময় পেয়েছিল। ফলে যারা আবেদন করেও ফি জমা দেয়নি, তাদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
এ প্রসঙ্গে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল সাব কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, শিক্ষার্থীদের কিছু কাজ আছে যেগুলো সময়ের মধ্যেই করতে হয়। কিছু শিক্ষার্থী আছে যাদের সব সময় কোনো না কোনা সমস্যা থেকেই যায়। আমরা সব সমস্যার সমাধান করতে পারবো না। আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হবে না।
তথ্যমতে, প্রথম ধাপে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ফি জমা দেওয়ার সময়সীমা আজ বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় শেষ হয়েছে। বিকেল ৫টা থেকে বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু হয়েছে। এর আগে বেলা ১২টায় দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের জন্য প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়।
‘এ’ ইউনিটের ২৮ হাজার ৯৪৫ শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ধাপে চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা এসএমএস পেতে শুরু করেছেন। চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৫১৪টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানের জমা পড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৯৬০টি। আর মানবিকের ৬৭ হাজার ১১৭টি এবং বাণিজ্যের ৩৩ হাজার ৪৩৭টি।
সূত্র জানায়, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ অর্থাৎ ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী, মানবিক বিভাগ অর্থাৎ ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৩ জন। বাণিজ্য বিভাগ ‘সি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৬৩২ শিক্ষার্থী।
এরমধ্যে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের সকলেই চূড়ান্ত আবেদনে অংশ নিতে পারলেও বিজ্ঞান বিভাগের ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৫ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে বলে জানানো হয়েছিল। গত ২৫ আগস্ট চূড়ান্ত আবেদনের ফল প্রকাশ করা হয়।
এরপর অনলাইনের মাধ্যমে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চূড়ান্ত আবেদন চলে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত।