গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা কবে, জানা যাবে কোর কমিটির বৈঠকের পর

সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভর্তি পরীক্ষা
সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভর্তি পরীক্ষা  © প্রতীকী ছবি

সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন চলছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক সভায় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ নির্ধারণের বিষয়ে সেখানে কিছু জানানো হয়নি।

সভায় পরিষদের সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম সভাপতিত্ব করেন। 

এ বিষয়ে গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোনাজ আহমেদ নূর বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানানো হয়েছে। তবে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ জানানো হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটিতে আলোচনা না হওয়ায় সভায় তারিখ জানানো হয়নি। পরবর্তীতে কোর কমিটিতে আলোচনা করে ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে।

জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ অর্থাৎ ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী, মানবিক বিভাগ অর্থাৎ ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৩ জন। বাণিজ্য বিভাগ ‘সি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৬৩২ শিক্ষার্থী।

মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছেন, সবাই চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, বিজ্ঞান বিভাগে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৫ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রথম ধাপের চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। এরপর বাকি ৬২ হাজার ৯৩৬ জনের মধ্যে থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ফের আবেদনের সুযোগ পাওয়া যাবে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যম্পাসকে বলেছিলেন, বিজ্ঞান বিভাগে চূড়ান্ত আবেদন কতজন করে সেটা দেখে আমরা আবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় আবারও আবেদনের সুযোগ দেবো। অন্যদিকে, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের প্রাথমিক আবেদন করা সবাই চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ