গুচ্ছ পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ মার্কিং-ক্যালকুলেটর’ ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি
গতকাল শুক্রবার ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। এবার তিন ইউনিটে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬০৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। শিগগিরই প্রাথমিক আবেদনের ফল প্রকাশ করবে গুচ্ছ কমিটি। চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নেগেটিভ মার্কিং কত কাটা হবে এবং পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন আবেদন করেছেন। মানিবক বিভাগের জন্য নির্ধারিত ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করেছে এক লাখ ৭ হাজার ৯৩৩ জন। আর বাণিজ্য বিভাগের ‘সি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৬৩২ জন।
ভর্তি পরীক্ষা পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে ভর্তি পরীক্ষা কবে হবে সে বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না আয়োজক কমিটি। পরিস্থিতি দেখে এরপরই সিদ্ধান্ত নিতে চায় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও খুব শিগগিরই প্রাথমিক আবেদনের ফল প্রকাশ করতে চায় আয়োজক কমিটি। সেজন্য টেকনিক্যাল সাব কমিটির সাথে বৈঠক ডাকা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গতকাল আমাদের প্রাথমিক আবেদন শেষ হয়েছে। আমরা দ্রুতই এর ফল প্রকাশ করব। এরপর চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে। পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কবে নাগাদ পরীক্ষা নেয়া যাবে সে বিষয়ে এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। আমরা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। পরিস্থিতি দেখে তারপর পরীক্ষার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিক আবেদনে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪০৬ শিক্ষার্থী
এদিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং এবং ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আয়োজক কমিটি। তবে প্রচলিত নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে। এক্ষেত্রে নেগেটিভ মার্কিং .২৫ কাটা হতে পারে। তবে বিসয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। ভর্তি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য কত নাম্বার কাটা যাবে আর পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমরা বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেব।