নির্ধারিত সময়েই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া
দেশে করোনা পরিস্থিতি অবনতি না হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন হবে। তবে এক বা একাধিক জেলায় লকডাউনের আওতায় থাকলে সেক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া পেছানোর চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ৫ মার্চ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির অনলাইনে ভর্তির আবেদন ফরম বিতরণ শুরু আগামী ৮ জুন থেকে। চলবে ২২ জুন পর্যন্ত। আগামী ২৮ জুলাই প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন শুরু ৮ জুন
আর প্রথম বর্ষের প্রফেশনাল কোর্সের অনলাইন আবেদন ফরম বিতরণ চলবে আগামী ২৩ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত। আগামী ১২ আগস্ট থেকে প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এদিকে, দেশে বর্তমান করোনা সংক্রমণ এবং সরকারি বিধি-নিষেধের মধ্যে যথাসময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে করোনার কারণে দুই মাস পিছিয়েছে অধিকাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে। এসব প্রক্রিয়া প্রায়ই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই যথাসময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে বলে আশা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টি নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
আজ শুক্রবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা পরীক্ষা নিয়ে নয়, ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে থাকি। তাই যথাসময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হবে।
“করোনার কারণে এমনিতেই এই প্রক্রিয়া ৭/৮ মাস পিছিয়েছে। এখন যদি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেওয়ার পর আমরা নেই তাহলে আরও পিছিয়ে যাবে। করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীরা এমনিতে নানান সমস্যায় আছে। হতাশার মধ্যে আছে। তাই তাড়াতাড়ি এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই আমরা।”
তিনি আরও বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়া আগে সম্পন্ন করলেও আসন সংখ্যা তেমন একটা খালি থাকে না। চূড়ান্তভাবে অল্প কিছু খালি থেকে যায়।
দেশে করোনার পরিস্থিতি বাড়লে ভর্তি প্রক্রিয়া পেছানো হবে কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন বলেন, ধরেন এখন রাজশাহীতে লককডাউন চলছে। সেখনকার কলেজে কেউ অফিসে আসতে পরছেন না। ভর্তি প্রক্রিয়ায় কলেজেও কিছু কাজ থাকে। যদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তখন পেছানোর চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় সরকারি ও বেসরকারি কলেজের সংখ্যা ২ হাজার ২৬৮টি। যার মধ্যে আটশ-এর অধিক কলেজে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়।
ইউজিসি সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব কলেজে স্নাতক পাস/স্নাতক সম্মান/স্নাতক কারিগরি ও সমমান পর্যায়ে আসন সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮১৫টি। এতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭২ জন। আর আসন শূন্য ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৭৪৩টি। তবে এবার আসন সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।