জেনে নিন চবিতে ভর্তি আবেদনের খুঁটিনাটি তথ্য

  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সোমবার (১২ এপ্রিল) থেকে। চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত।

আবেদনের যোগ্য যারা

দেশের যেকোন শিক্ষা বোর্ড থেকে যারা ২০১৮ সালে মাধ্যমিক বা সমমান ও ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবছর অনিয়মিত (মানোন্নয়ন দেওয়া) শিক্ষার্থীদের আবেদন করার সুযোগ নেই।

আবেদনের ন্যুনতম যোগ্যতা

‘এ’ ইউনিট: বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউট নিয়ে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যে সকল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বা কৃষি বিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যুনতম মোট জিপিএ ৮.০০ পেয়েছে এবং উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যুনতম জিপিএ ৪.০০ পেয়েছে তারা এই ইউনিটে আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবে।

‘বি’ ইউনিট: কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউট নিয়ে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার মানবিক/মিউজিক/সাধারণ (মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড)/গার্হস্থ অর্থনীতি শাখা, বিজ্ঞান/কৃষি বিজ্ঞান শাখা, ব্যবসায় শিক্ষা/সমমান শাখাসহ সকল শাখার আবেদনকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

তবে, বিজ্ঞান/কৃষি বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত জিপিএ ৮.০০ এবং আলাদাভাবে ৩.৫০ থাকতে হবে। মানবিক/মিউজিক/সাধারণ (মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড)/গার্হস্থ অর্থনীতি/সমমান শাখার শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত জিপিএ ৭.৫০ এবং আলাদাভাবে ৩.০০ থাকতে হবে। এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা/ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা/সমমান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম/সমমান উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত জিপিএ ৮.০০ এবং আলাদাভাবে ৩.৫০ থাকতে হবে।

বি-১’ উপ-ইউনিট: বি১ উপ-ইউনিটের অধীনে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ অধিভুক্ত চারুকলা ইনস্টিটিউট, নাট্যকলা এবং সঙ্গীত বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের জন্যও একই যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘সি’ ইউনিট: ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ নিয়ে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম/সমমান পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত জিপিএ ৮.০০ এবং আলাদাভাবে ন্যুনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকলে এই ইউনিটে আবেদন করতে পারবে।

‘ডি’ ইউনিট: সমাজ বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ, আইন অনুষদের আইন বিভাগ, শিক্ষা অনুষদের ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ, জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ভূগোল, পরিবেশবিদ্যা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পরীক্ষা হবে ‘ডি’ ইউনিটের।

উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম/সমমান পরীক্ষায় যে কোনো শাখা থেকে সম্মিলিত জিপিএ ৭.৫০ এবং আলাদাভাবে ৩.৫০ রয়েছে তারা ‘ডি’ ইউনিটে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে, বিভিন্ন অনুষদভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতা প্রয়োজন হবে।

‘ডি-১’ উপ-ইউনিট: ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের জন্য পরীক্ষা হবে ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে। উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম/সমমান পরীক্ষায় যে কোনো শাখা থেকে সম্মিলিত ন্যুনতম জিপিএ ৬.০০ এবং আলাদাভাবে ন্যুনতম জিপিএ ২.৫০ থাকলে এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

কোন ইউনিটে কবে পরীক্ষা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘বি’ ইউনিটে ২২ ও ২৩ জুন, ‘ডি’ ইউনিটে ২৪ ও ২৫ জুন, ‘এ’ ইউনিটে ২৮ ও ২৯ জুন, ‘সি’ ইউনিটে ৩০ জুন এবং ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে ১ জুলাই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আবেদন পদ্ধতি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://admission.cu.ac.bd/) থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন ফি 

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ইউনিট/উপ-ইউনিটে আবেদন ফি ৬৫০ টাকা (আবেদন প্রসেসিং ফি সহ) আবেদন ফি বিকাশ, রকেট ও শিওর ক্যাশের মাধ্যমে দেওয়া যাবে। আবেদন শেষে টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ মে রাত ১১. ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

প্রবেশপত্র ডাউনলোড: পরীক্ষার্থীরা ১ জুন থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

আবেদন সংশোধন: ১২ এপ্রিল থেকে ৯ মে ২০২১ পর্যন্ত আবেদনপত্র সংশোধন করা যাবে। আবেদনপত্রের যেকোনে প্রকার সংশোধন ও ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোন ডকুমেন্টের ডুপ্লিকেট কপি নেওয়ার জন্য ৩০০ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি 

ভর্তি পরীক্ষা বরাবরের মতোই ১২০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ থেকে যুক্ত হবে। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাস নম্বর হবে ৪০।

আসন সংখ্যা 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে এ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১২টি, বি ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, সি ইউনিটে ৪৪১টি, ডি ইউনিটে ১ হাজার ১৬০টি। উপ-ইউনিটের মধ্যে বি১ ইউনিটে ১২৫টি ও ডি১ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ