মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তাক লাগিয়ে দিল নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়েছেন ১৮ জন শিক্ষার্থী। গত ৪ এপ্রিল মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এ তথ্য এ বেরিয়ে এসেছে। এমন অভাবনীয় সাফল্যে খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ স্থানীয়রাও।
চান্স পাওয়াদের মধ্যে অন্যতম নাফিস আশরাফ। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় নাফিসের বাবা আশরাফুল হক শামীম ব্যবসায়ী। মা মোসা. রেশমিনা খানম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাদের স্বপ্ন ছিল নাফিস চিকিৎসক হবে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে। তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।
নাফিস আশরাফ বলেন, এইচএসসি পাস করেছি নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে। বাবা-মা খুব কষ্ট করেছেন আমার জন্য। তাদের প্রচেষ্টা আর পরিশ্রম কাজে লেগেছে। স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে, কেমন লাগছে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এসময় সবার কাছে দোয়া চান তিনি।
তার বাবা আশরাফুল হক শামীম বলেন, ছেলেকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে, খুবই ভালো লাগছে। তার লেখাপড়ার জন্য মায়ের অবদান বেশি। শিক্ষকদের পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা তো আছেই।
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের আরেক শিক্ষার্থী সাহরুখ শহিদ জারিফ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়েছেন। ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে পড়বেন তিনি। জারিফ বলেন, বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল সরকারি মেডিকেলে চান্স পাওয়ার। নিজেরও প্রত্যাশা ছিল। সেটি পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে। চিকিৎসক পেশা মানুষকে সেবা করার মোক্ষম সুযোগ। এ সফলতার পেছনে বাবা-মা, বড় বোন এবং শিক্ষকদের অবদান রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ কলেজ থেকে মেডিকেলে চান্স পাওয়া অন্যরা হলেন- সানজিদা সুপ্তি, ফালগুনি আহমেদ, অঙ্কিতা, আদরিতা সাহা, আনা, বুশরা, ইমন, নুর নাহার, মুমু, রুতবা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনিকা আলিম, হাবিবা, মাহি, অনুরাধা ও নুর আলম।
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন, কলেজটি পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারের সন্তানরা এখানে বেশি লেখাপড়া করে। তবুও কলেজটি ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ২/৩ বছর ধরে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করছে। এ বছরও মেডিকেলে সে সুনাম ধরে রেখেছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর আমরা জানতে পেরেছি কলেজ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছে। শিক্ষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের মেধা বিকাশে। এতে সফলতা আসছে। এখানকার ছাত্র নড়াইলের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মোর্তুজার কলেজের উন্নয়নে হাতের ছোঁয়া রয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন তিনি।