গুচ্ছ ভর্তি: দেড় লাখই থাকছে ইউনিটপ্রতি সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী
গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি ওয়েবসাইটে গিয়ে ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করতে পারবেন। এরপর প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল এবং চূড়ান্ত আবেদন শেষে আগামী ১৯, ২৬ জুন ও ৩ জুলাই গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এই ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকা ওয়েবসাইটে (http://www.gstadmission.org/) পাওয়া যাচ্ছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রত্যেক ইউনিটে দেড় লাখের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। যদিও ভর্তিচ্ছুরা এই নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এছাড়া নির্দেশিকায় ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। নির্ধারিত সময়ে চুড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী মেধাক্রম হতে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক শিক্ষার্থীকে চুড়ান্ত আবেদনের সুযােগ দেওয়া হবে। প্রতিটি ইউনিটে আবেদন ফি ৫০০ (পাঁচশত) টাকা মােবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, রকেট, নগদ)-এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।
চুড়ান্ত আবেদন পদ্ধতির বিস্তারিত যথাসময়ে জিএসটি অ্যাডমিশন টেস্ট এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। চুড়ান্ত আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের ৩১টি পরীক্ষাকেন্দ্র মধ্যে নূন্যতম পাঁচটি কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় রাখতে হবে।
এইচএসসি/সমমান কোর্সের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান, এসএসসি ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর, পাসের বছরসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিবেচনাপূর্বক প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি কেন্দ্র-নির্ধারনি স্কোর (সর্বোচ্চ ১০০) প্রস্তুত করা হবে। প্রাপ্ত স্কোর ও কেন্দ্রের পছন্দ ক্রমের ভিত্তিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারন করা হবে। নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তনের কোন সুযােগ নেই।
এতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীরা একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ পূর্বক প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে উল্লেখিত যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) সংশ্লিষ্ট একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। দুটি পর্যায়ে আবেদন করতে হবে– প্রাথমিক আবেদন ও চূড়ান্ত আবেদন (প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে চুড়ান্ত আবেদনের যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হলে)।
নির্দেশিকাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।