গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের ফল ২৩ এপ্রিল

  © প্রতীকী ছবি

আগামী ১ এপ্রিল থেকে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে। পরীক্ষা শুরু হবে ১৯ জুন থেকে। যেসব শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে তাঁরা সকলেই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। তাছাড়া প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য হতে কারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য, তাদের ফলাফল আগামী ২৩ এপ্রিল জানানো হবে।

সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্যের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত উপাচার্যবৃন্দের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোন ফি প্রদান করতে হবে না। যে সকল শিক্ষার্থী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি/আলিম ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারাই আবেদন করতে পারবে। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৮.০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.৫ এবং মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৭.০ থাকতে হবে। তবে প্রত্যেক শাখাতে বিভাগে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। শুধুমাত্র এবছরের জন্যই গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি পাসকৃত শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগামী বছর হতে পূর্ববর্তী বছরের পাসকৃত অর্থাৎ সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না।

সভা সূত্রে আরও জানা যায়, প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য হতে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল ২৩ এপ্রিল স্বয়ক্রিয়ভাবে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে। গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে মেধার ভিত্তিতে ততজন শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল হতে ২০ মে তারিখের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।

সকল পরীক্ষা নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে একযোগে বেলা ১২টায় শুরু হবে। একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন/চয়েস করতে পারবেন। ২০১৯ সালের পাসকৃত শিক্ষার্থীগণ বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘কেন্দ্র’ হিসেবে চয়েস বা পছন্দ করতে পারবেন না। প্রয়োজনে চয়েসকৃত নির্দিষ্ট কেন্দ্রের বাইরেও পরীক্ষা দিতে হতে পারে। আবেদনকারীরা ১ জুন হতে ১০ জুন তারিখের মধ্যে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষা ১৯ জুন হতে শুরু হবে।

ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্যাদি ভর্তি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট (www.gstadmission.org এবং www.gstadmission.ac.bd) ও জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ