গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাছাই প্রক্রিয়া যেভাবে হবে
গুচ্ছভুক্ত ২৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসিতে সর্বোচ্চ জিপিএ প্রাপ্ত থেকে সর্বনিম্ন জিপিএ প্রাপ্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষায় নির্ধারিত জিপিএ প্রাপ্ত সব শিক্ষার্থীই প্রাথমিকভাবে আবেদনের সুযোগ পাবেন। তবে প্রতিটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবেন প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই সূত্র জানায়, প্রচলিত নিয়মেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার জন্য বাছাই করা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি প্রাপ্ত গ্রেড অনুযায়ী সর্বোচ্চ থেকে আসন সংখ্যা অনুযায়ী সর্বনিম্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। ফলে বিগত দুটি বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফল করা শিক্ষার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির এক সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এবার প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী এইচএসসি পাস করেছে। সেকেন্ডটাইম পরীক্ষার জন্য আরও কয়েক লাখ শিক্ষার্থী অপেক্ষা করছেন। আমরা এত শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে পারব না। এজন্য আবেদনকৃতদের মধ্য থেকে শিক্ষার্থী বাছাই করে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, বিভাগ অনুযায়ী নির্ধারিত জিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করার পর আমরা তাদের দুই বোর্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ অনুযায়ী সিলেকশন করব। যাদের জিপিএ ভালো, তারাই ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। যদি একই জিপিএ একাধিক শিক্ষার্থী পেয়ে থাকেন, তখন আমরা সাবজেক্ট দেখব। সেখানে যে এগিয়ে থাকবে, সেই ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে।
কলেজগুলোতে পরীক্ষার কেন্দ্র করে সবাইকে পরীক্ষার সুযোগ দেয়া যায় কিনা- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলেজে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র করতে পারব না। কারণ, সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতেই ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন চাই। তবে এক্ষেত্রে ২০টি নয়, গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসা ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেব।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্যের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির বৈঠকে সিলেকশন পদ্ধতি ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।