শিক্ষার্থীরা মেধা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © টিডিসি ফটো

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গত বছর যে সুযোগ ছিল, এবারও স্বাভাবিকভাবে যতটুকু বেড়েছে ততটুকুই। তাতে যারা জিপিএ-৫ পেয়েছে তারাসহ সবাইকেই এই পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে, বিভিন্নভাবে এ পরীক্ষা হবে। কাজেই সেখানে তারা তাদের মেধার পরিচয় দিয়ে, স্বাক্ষর দিয়েই ভর্তির সুযোগ পাবে।’ আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা শেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণা করেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ছাড়াও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সামনে থাকা বাটন চেপে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিকট থেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফলাফল গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরীক্ষা ছাড়া সেই ফলাফলই আজ ঘোষণা করা হলো। এবার তাই কেউ ফেল করেনি। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল গড় করে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। 

সদ্য ঘোষিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। ৯টি সাধারণসহ সব বোর্ডের সমন্বয়ে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, আগের বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। সে হিসেবে এবার অটোপাসে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনগুণেরও বেশি।

ফলাফল অনুযায়ী, এবার সবাই শতভাগ পাস করলেও গতবার পাস করে ৭৩.৯৩ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়ার হার গত বছর ৩.৫৪ শতাংশ হলেও এবার হয়েছে ১১.৮৩ শতাংশ। এবার ছাত্রদের মধ্যে ৭৮ হাজার ৪৬৯ জন এবং ছাত্রীদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৩৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ