চবি ভর্তি পরীক্ষা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার নানান অসঙ্গতি আর অভিযোগের মধ্য দিয়ে গত ৩১ অক্টোবর শেষ হয়েছে। এরমধ্যে গত ৬ নভেম্বর ডি ইউনিটের ন্যাশনাল কারিকুলামে পরীক্ষা দেওয়া ৪১৬ জন শিক্ষার্থী পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষার ত্রুটি খতিয়ে দেখতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চবি উপাচার্য তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদ।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরীকে। এছাড়া উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইকবাল আহমেদ ও সহকারী প্রক্টর ড. হানিফ মিয়াকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চবির ডি ইউনিটের পরীক্ষায় ন্যাশনাল কারিকুলামের পরীক্ষার্থীর প্রশ্নে বাংলা অপশন না থাকায় শিক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষা দিতে হয়েছে। বিষয়টি বেশ সমালোচিত হয়েছে। এছাড়াও ডি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের পর যেই তিনটি অভিযোগ উঠেছিলো। এরমধ্যে প্রথমেই রয়েছে; ডি ইউনিটের প্রকাশিত ফলাফলে মানোন্নয়ন দেয়া শিক্ষার্থীদের সরাসরি অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।
দ্বিতীয়ত মানোন্নয়ন না দিয়েও অনেক অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী উক্ত ইউনিটের কোনো ফলাফল পাননি। যা অন্য যেকোনো ইউনিটের তুলনায় অনেকগুণ বেশী। এছাড়া প্রায় কয়েকশো শিক্ষার্থীর অভিযোগ ; উত্তরপত্রে নাম্বার কম পেয়েছেন তারা। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজি অংশে সঠিক হওয়া সত্ত্বেও নাম্বার কম পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যাদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতেও প্রস্তুত।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকায় অস্পষ্টতা থেকে মানোন্নয়ন দেয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে সৃষ্টি হওয়া জটিলতার বিষয়টিও ভর্তি পরীক্ষার ত্রুটি হিসেবে গণ্য হবে।