সমন্বিত ভর্তি: প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ আবদেনকারী অর্ধেক শিক্ষার্থী
দেশে প্রথমবারের মত সমন্বিতভাবে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই প্রাথমিকভাবে বাদ পড়েছে। রবিবার সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাথমিক বাছাই লিস্টে আবেদনকারী ৭৪ হাজার ৪৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮ হাজার ৯৫৬ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বাদ পড়েছেন।
জানা যায়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ব্যতীত এসএসসি ও এইচএসসি তে প্রাপ্ত মোট নূন্যতম ৭.০০ জিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ দিয়ে ওয়েবসাইটে (admission-agri.org) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মোট আবেদন পরে ৭৪ হাজার ৪৫৬ টি। কিন্তু রবিবার সেখান থেকে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে নূন্যতম জিপিএ ৯.১৫ প্রাপ্ত ৩৮ হাজার ৯৫৬ জনকে বাছাই করা হয়। এছাড়াও বলা হয় যারা পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়নি তাদের আবেদন ফি বাবদ নেয়া এক হাজার টাকা ফেরত দেয়া হবে না।
এদিকে প্রাথমিক বাছাইয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বাদ দেওয়ায় তুমুল প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। এছাড়াও জিপিএ ৯.১৫ প্রাপ্তদের বাছাই করা হলেও জিপিএ ৭.০০ প্রাপ্তদের কেন আবেদন করার সুযোগ দেয়া হলো এবং বাদ পরাদের কেন টাকা ফেরত দেয়া হবে না তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
জিহাদুল ইসলাম নামের এক প্রার্থী বলেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ অবশ্যই ভালো কিন্তু চতুর্থ বিষয় ছাড়া ৯.১৫ মানায় না। এমন হলে সমন্বিত না থাকাই ভালো ছিলো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন্তত পরীক্ষা দিতে পারতাম।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার মনে হয় সমন্বিত এ ভর্তি পরীক্ষায় সবাইকে অংশ নিতে দেওয়া উচিত। তবে যদি সকলকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া না হয়, সেক্ষেত্রে যারা অংশ নিতে পারছে না তাদেরকে আবেদনের টাকা ফেরত দেয়া উচিত।
ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে বাকৃবি ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান জানান, এবারের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতার উপর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে। নির্বাচিত আবেদনকারীদের ফি ফেরতের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষে উদ্বৃত্ত থাকা সাপেক্ষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।