ভর্তি পরীক্ষার তিন গুচ্ছে ভাঙনের গুঞ্জন, যা বলছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তিন গুচ্ছের ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। এতে গুচ্ছগুলো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসঙ্গে রাখার বিষয়ে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
ইউজিসি চেয়ারম্যান সোমবার (১১ নভেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আলাদা সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আছে। তবে তারা ছাত্রদের কষ্টের বিষয়টি বিবেচনায় নেবে বলে আমরা আশা করি। আমরা কোনোকিছু চাপিয়ে দেব না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, তারা অবশ্যই ছাত্রদের আর্থিক ও কষ্টের বিষয়টি বিবেচনায় রাখবে। এখানে তাদের থাকার বিষয়টিও আছে।’ ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একসঙ্গে রাখার চেষ্টা করবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরাও থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।
আরও অন্তত তিন থেকে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যেতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। ফলে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থাকছে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছেন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যরা।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছও আর থাকছে না বলে গুঞ্জন উঠেছে। ইতোমধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রাথমিক আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে। আর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) চলতি সপ্তাহেই ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আরো পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত, ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গুচ্ছ কি থাকবে?
কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত প্রার্থীদের প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া রোববার (১০ নভেম্বর) শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলবে। তবে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন পরিষদও গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এরই মধ্যে পরিষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আহবায়ক অধ্যাপক মো. গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, তারা আলাদা ভর্তি পরীক্ষা চালু করবেন। শিক্ষাবিষয়ক পরিষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।