২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৪

বুয়েটে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে স্মারকলিপি

দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে কর্মসূচি  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের মতো (সেকেন্ড টাইম) ভর্তিচ্ছুদের বসার সুযোগ দিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) ২০২৩ ব্যাচের এইচএসসি উত্তীর্ণরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর এই স্মারকলিপি দিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে দ্বিতীয়বারের সমস্যার সমাধান করার জন্য কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- বুয়েটের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় এই বছরের ভর্তি পরীক্ষা থেকে এইচএসসি ২৩ ব্যাচ এবং পরবর্তী ব্যাচের জন্য দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের সুযোগ পুনরায় চালু করুন; ২০২১ সালের মতো প্রাথমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো। তখন ৪টি শিফটে ৬ হাজার পরীক্ষার্থী ছিল, এখন ২টি শিফটে ৯ হাজার পরীক্ষার্থী থাকে। এভাবে ৪টি শিফটে ৯ হাজার করে মোট ৩৬ হাজার পরীক্ষার্থী নেওয়া সম্ভব; এইচএসসি ২৪ ব্যাচের ফলাফলের ভিত্তিতে ৫০ নম্বরের এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের নির্বাচিত করা হবে, কিন্তু এইচএসসি ২৩ ব্যাচের জন্য আমাদের সব পরীক্ষা দিয়েছি, তাই আমাদের ভিন্নভাবে বিবেচনা করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, এইচএসসি এবং এইচএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ২৪ ব্যাচের সাথে আমাদের সমানভাবে নির্বাচিত করা উচিত; দ্বিতীয়বারের সুযোগ পুনরায় চালু করার ঘোষণা দ্রুত দেওয়া যাতে এইচএসসি ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগামী ৩ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ভর্তি পরীক্ষায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সভার পর ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। 

তবে সেকেন্ড টাইমারদের দাবিটি অযৌক্তিক দাবি করে তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রতিবছর শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ছে, এজন্য বুয়েট ভর্তিতে প্রথমে প্রাক-নির্বাচনী এবং পরে মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বসিয়ে পরীক্ষা নিতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে সেকেন্ড টাইমারদের দাবিটি অযৌক্তিক। তবে এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা দাবি জানাচ্ছে, তাই আগামী ৩ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করা হবে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দেওয়া হবে।

জানা যায়, গতবার ১৮ হাজার শিক্ষার্থী বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার প্রাক-নির্বাচনী পর্বে অংশ নিয়েছিল। এতে বহুনির্বাচনি পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। প্রাক্-নির্বাচনীতে উত্তীর্ণ হওয়া ৬ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।