কৃষি গুচ্ছের পরীক্ষা পূজার পর আয়োজনের দাবিতে ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি
গুচ্ছভুক্ত ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পূজার পর আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এ দাবিতে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৫ জুলাই সমন্বিত কৃষি ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষকদের কর্মবিরতির জন্য স্থগিত হয়ে যায়। স্থগিত হওয়া কৃষি পরীক্ষা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি জানার পর সাধারণ পরীক্ষার্থীরা চরম শঙ্কিত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আছে। আমরা পূর্বে পরীক্ষার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু গত ২ মাসে দেশের সামগ্রিক পট পরিবর্তন ও আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কারণে আমরা দীর্ঘদিন পড়ালেখার বাইরে রয়েছি।
পাশাপাশি নোয়াখালী-ফেনীসহ দেশের ১১ জেলায় ভয়াবহ বন্যার কারণে সেখানকার পরীক্ষার্থীরাও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তারাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এছাড়াও গত ৩/৪ দিনের ভারি বর্ষণের কারণে আবারো প্লাবিত হচ্ছে নোয়াখালী ফেনী সহ অনেক নিম্নাঞ্চল এবং দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। যার ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১২ লাখ মানুষ। একটি ভয়াবহ বন্যা কাটিয়ে উঠার আগে আবারো বন্যা, এমতাবস্থায় সেখানকার শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্বনির্ধারিত উপাচার্যদের সভা স্থগিত হওয়া সত্ত্বেও কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সন্ধ্যায় হঠাৎ কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে ৪ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ দেখানো হয়। যা পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছে। পরীক্ষার মাত্র ১৮ দিন আগে এভাবে তারিখ দেওয়ায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। দেশে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে অসম্ভব প্রায় এবং অযৌক্তিকও। তাই শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় পরীক্ষা গ্রহণের ন্যূনতম ৩০-৩৫ দিন আগে তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে এডটেক প্রতিষ্ঠান বায়োলজি কিলার্স-এর সিইও মেহফুজ আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা প্রায় ছয় বছর ধরে শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি কাজ করছি। যার কারণে তাদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। সম্প্রতি সংঘটিত আন্দোলন ও বন্যার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখা থেকে বাইরে ছিল। তারা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সর্বোপরি সব কিছু বিবেচনা করে সর্বনিম্ন ১ মাস আগে তারিখ জানিয়ে অক্টোবরেই কৃষি পরীক্ষা আয়োজন করলে ভালো হবে বলে আমি মনে করি।’’