শেষ হলো চবির ভর্তিযুদ্ধ
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:২৯ PM , আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩২ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত শনিবার। আজ ‘ডি-১’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হল টানা পাঁচদিনের এ ভর্তিযুদ্ধ। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় সন্তুষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রথমবারের মতো সব ইউনিটের পরীক্ষা ক্যাম্পাসের ভেতরেই নেয়া হয়েছে। এছাড়া সম্পূর্ণ নিজস্ব অটোমেশনের মাধ্যমে কোনো প্রকার ভুলত্রুটি ছাড়াই আমরা ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।
পরিবহন শ্রমিকের ধর্মঘটে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে চবি উপাচার্য বলেন, এ বছর পরীক্ষা চলাকালীন অনাকাঙ্খিত ধর্মঘটের কারণে শিক্ষার্থীরা একটু বিপাকে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা এবং অন্যান্য বিষয় মাথায় রেখেই পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়নি। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব যানবাহন ধর্মঘটের আওতামুক্ত ছিল। আর ক্যাম্পাসের নিজস্ব শাটলট্রেন থাকায় পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
এ বছর ৪ হাজার ৯২৬ টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। ‘এ’ ইউনিটে ১ হাজার ৪৭৬ টি আসনের বিপরীতে আবদেন করেছে ৪৪ হাজার ৪৩১ শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৩ হাজার ৫৮৮ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ১২ হাজার ১০৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৩৬ শতাংশ।
‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ৪২৯ টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৩১ হাজার ৭৯০ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৭ হাজার ৬৪৮ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ২৯০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ৪৪ শতাংশ। ‘সি’ ইউনিটে ৭৫২ টি আসনের বিপরীতে ১১ হাজার ৪৩৯ জন আবেদন করেছে। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৯ হাজার ১৫৮। এরমধ্যে পাস করেছে ৫ হাজার ৩৯৮ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৫৯ শতাংশ।
‘ডি’ ইউনিটে ০১ হাজার ৯৮টি আসনের বিপরীতে ৪৪ হাজার ৫৬৮ জন আবেদন করেছে। এর মধ্যে ৩৮ হাজার ২৭৩ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পাস করেছে ৭ হাজার ৯২৪ শিক্ষার্থী। পাসের হার ২০ দশমিক ৭ শতাংশ।
এছাড়া দুটি উপ ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ এ ১২৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ১ হাজার ৮৮৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ হাজার ২৬০ শিক্ষার্থী। আর উপ ইউনিট ‘ডি-১’ এ ৪৬ টি আসনের বিপরীতে ২ হাজার ১৩৫ প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১ হাজার ৫৭৮ শিক্ষার্থী। এ দুটি ইউনিটের ফল এখনো প্রকাশিত হয়নি।