২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৫৫

পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা

সংসদে সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে সারা দেশে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি হলো- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।

শুক্রবার থেকে নোবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রবিবারও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা রয়েছে। শনিবার থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যা চলবে ‍বুধবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত। এছাড়া ২৮ ও ২৯ অক্টোবর এবং ২ ও ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে, তারা বেকায়দায় পড়েছেন। রবিবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় শনিবার রাতের মধ্যেই চট্টগ্রাম যেতে হচ্ছে তাদের। নোয়াখালীর সোনাপুর, মাইজদী ও চৌমুহনীর বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি কাউন্টারেই শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। টিকিটের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার পরও টিকিট পাচ্ছেন না অনেকেই। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর চট্টগ্রাম যাত্রা এখনও অনিশ্চিত।

এ অবস্থায় কিছু অসাধু পরিবহন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টিকিটের দাম বৃদ্ধি করে আদায় করছে বাড়তি টাকা। নোয়াখালীর সোনাপুর ও মাইজদীর কাউন্টারগুলোতে টিকিটের দাম নাম না বাড়লেও চৌমুহনীর কাউন্টারগুলোতে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। ২০০ টাকার টিকিটের দাম নেওয়া হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।

ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও এখনও চট্টগ্রামের টিকিট পাইনি। বুঝতে পারছি না কীভাবে যাবো। আর কখন পরীক্ষায় অংশ নেবো। বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছুদের কথা চিন্তা করে প্রশাসনের এ ব্যাপারে নজর দেওয়া উচিত ছিল।’

এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে রবিবারের পরীক্ষা পেছানোর কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নোবিপ্রবি প্রক্টর ড. এস এম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ধর্মঘট থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিবারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের নিজস্ব বাসগুলো ক্যাম্পাস টু শহরে চলাচল করবে। আশাকরি তেমন সমস্যা হবে না।

এদিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিবহন ধর্মঘট চললেও যথাসময় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।