ভর্তি জালিয়াতি রোধে চবিতে থাকছে ‘সিইউ অ্যান্টি প্রক্সি’ অ্যাপস
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:৪৬ PM , আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:৪৬ PM
আগামীকাল ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের জালিয়াতি রোধে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে চবি প্রশাসন। যার মধ্যে সিসি টিভি ক্যামেরা, সিইউ অ্যান্টি প্রক্সি অ্যাপসসহ ক্যাম্পাস জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এরমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে চবির উদ্ভাবিত ‘সিইউ অ্যান্টি প্রক্সি’ অ্যাপসটি।
অ্যাপসটি নির্ভুলভাবে পরীক্ষার্থীকে সনাক্তকরণে সহযোগিতা করবে। এবং নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থী ছাড়া ভিন্ন কেউ পরীক্ষা দিলে সেটাও সনাক্ত করা যাবে অ্যাপসটির মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অ্যাডমিশন নোটিশ, অ্যাডমিশন টেস্ট সিস্টেম এবং সিইউ অ্যান্টি প্রক্সি নামক অ্যাপসের ব্যবহার করছে চবি। যা চবির কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি সফটওয়্যার ফার্ম ‘আগামীল্যাভস লিমিটেড’র সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়েছে।
অ্যাপসটির ব্যবহার....
অ্যাপসটি প্রত্যেক পরিদর্শক নিজের মোবাইলে ডাউনলোড করে রাখবে। পরিদর্শক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডের উপরে থাকা (QR) কিউআর কোড এর উপর অ্যাপসটি অন করে মোবাইলের ক্যামেরা ধরলেই অটোমেটিক কিউআর কোডের মধ্যে থাকা একটি গোপন কোডকে সনাক্ত করে তাৎক্ষণিক চবির অনলাইন সার্ভারের সাথে কানেক্ট হয়ে সার্ভারে থাকে ব্যক্তিকে ডিসপ্লেতে দেখাবে। কাজেই সার্ভারে থাকা পরীক্ষার্থী ছাড়া ভিন্ন কেউ পরীক্ষা দেয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। আবার কেউ যদি সার্ভারে ভিন্ন ছবি দিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়ায় তাহলে সে ভর্তি হতে পারবে না। কারণ সার্ভারের ছবির সাথে মিল রেখেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
তবে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে চেক করা হবে কিনা বা কিভাবে এর ব্যবহার করা হচ্ছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চবির আইসিটি সেলের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. হানিফ সিদ্দিকী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সেটা পরিস্থিতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সকল বিভাগের কো-অরডিনেটরের মাধ্যমে প্রত্যেক পরিদর্শকের কাছে পরীক্ষা চলাকালীন ‘সিইউ অ্যান্টি প্রক্সি’ অ্যাপসটি রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বলে জানান তিনি।