০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:১৮

চবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে বানান ভুল, শিক্ষকের ক্ষোভ

চবি  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একাধিক ভুলের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পরীক্ষা পরিদর্শক গোলাম হোসেন হাবীব। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ভুলের বিষয়টি তিনি নিজের ফেসবুক একাউন্টের এক পোস্টে এ ক্ষোভ জানিয়েছেন।  

ফেসবুক পোস্টে জি এইচ হাবীব লিখেন, আপনারা আমাকে বোঝান কেন এদেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আমি এরকম দৃশ্য দেখব, কেন খামগুলোর ওপরে কেবল ইংরেজিতে লেখা থাকবে? এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের বাংলা অংশে কেন এত ভুল থাকবে?

এর আগে বেলা ১১টা থেকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত 'সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামসহ ঢাকা ও রাজশাহীতে এবারের ভর্তি পরীক্ষা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

চবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাধারণত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্ন ফেরত নেওয়া হয়। এ কারণে বাইরের কেউ কী প্রশ্ন হয়েছে, তা জানতে পারেন না। তবে শিক্ষক জি এইচ হাবীব পরীক্ষার হলে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন বিধায় তিনি প্রশ্ন দেখতে পেরেছেন।

এতে দেখা যায়, দুই নম্বর সেটের সমস্যা সমাধান অংশের ৫১ থেকে ৬৫ পর্যন্ত প্রশ্নের মধ্যে মোট বানান ভুলের সংখ্যা ১২টি। বেশির ভাগই ভুলই ‘ণ’–এর ব্যবহারে। প্রশ্নে ঘণ্টার বদলে ‘ঘন্টা’, ভ্রমণের বদলে ‘ভ্রমন’ ও পরিমাণের বদলে ‘পরিমান’ লেখা হয়েছে।

ভুলের বিষয়ে জানতে চাইলে জি এইচ হাবীব বলেন, আমরা আমাদের ভাষার ব্যাপারে যত্নশীল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র থেকে শুরু করে প্রায় সব দাপ্তরিক চিঠিতে বানান কিংবা বাক্য গঠনগত ভুল দেখা যায়৷ কিন্তু কেউ এসব গুরুত্ব দেয় না, আবার ভুলের দায়ও স্বীকার করে না। এ জন্য ভুলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

বানান ভুলের বিষয়ে জানতে চাইলে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, প্রশ্নপত্র যথার্থ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ ভুল (টিপিক্যাল মিসটেক) হতেই পারে। এটা গুরুতর কোনো বিষয় না।

চবির ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা হয় ১২০ নম্বরে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ও বাকি ২০ নম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জিপিএ থেকে নেওয়া হয়। এবারের  ইংরেজিতে ৪০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ৩০ ও সমস্যা সমাধান (প্রবলেম সলভিং) অংশে ৩০ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে। এ বছর ৬৪০টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৭ হাজার ৩০০। তবে এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন ১৪ হাজার ৩৯৬।