২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০০

ভেতরে পরীক্ষায় জাবিতে ভর্তিচ্ছুরা, বাইরে অপেক্ষায় অভিভাবক

জাবির ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসে অপেক্ষায় থাকা অভিভাবকরা  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির (আইআইটি) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রথম শিফটের পরীক্ষা শুরু হয়। বেলা ৪ টা ৪০ মিনিটে ষষ্ঠ শিফটের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হবে।

এর আগে সকালে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কক্ষে আসনগ্রহণ করেন। তাদের সঙ্গে এসেছেন অভিভাবকরাও। তাদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বসে সময় পার করছেন। এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। 

জানা গেছে, এ বছর ছয়টি ইউনিট ও একটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার এক হাজার ৮৪৪টি আসনের বিপরীতে মোট এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৫১ জন অংশগ্রহণ করছেন। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১০৮ জন ভর্তিচ্ছু।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ‘এ’ ইউনিটে (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) ৪৪৬টি আসনের বিপরীতে ৫০ হাজার ৩১২ জন, ‘বি’ ইউনিটে (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদ) ৩৮৬টি আসনের বিপরীতে ১৭ হাজার ৬৫৪ জন, ‘সি’ ইউনিটে (কলা ও মানবিকী অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) ৩৮৮টি আসনের বিপরীতে ৩৯ হাজার ৭৩৮ জন ভর্তিচ্ছু রয়েছেন।

আরো পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু

‘সি-১’ ইউনিটে (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ) ৬৪টি আসনের বিপরীতে চার হাজার ২১০ জন, ‘ডি’ ইউনিটে (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ৩১০টি আসনের বিপরীতে ৬৯ হাজার ২৮১ জন, ‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ) ২০০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৬৪৫ জন এবং আইবিএতে ৫০টি আসনের বিপরীতে তিন হাজার ৫১৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। প্রতিটি কেন্দ্রেই মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ডেইরি গেইট পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো অস্থায়ী দোকান বসাতে দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, প্রধান ফটক ও জয়বাংলা ফটকসংলগ্ন খাবারের দোকানগুলো মনিটরিংয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।