২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: তিনদিনে যত আবেদন পড়ল

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া ফের শুরু হয়েছে। ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সমস্যার সমাধানের পর বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৪৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। 

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়া মাঝে বন্ধ রাখার আগ পর্যন্ত ৪৩ হাজারের বেশি আবেদন পড়ে। এরপর ফের শুরু হলে তিন হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে। সবমিলিয়ে ৪৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আবেদন করার হার তুলনামূলক বেশি।

তিনি আরো বলেন, সেলফি নিয়ে সমস্যার বিষয়টি জানার পর আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। এরপর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করতে গিয়ে কেউ সমস্যায় পড়লেও উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। পরেও সংশোধনের সুযোগ থাকবে। অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯মিনিট পর্যন্ত।

এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার পর শুরু হয়েছে এ আবেদন প্রক্রিয়া। তবে কারিগরী জটিলতার কারণে মঙ্গলবার রাত থেকে সাড়ে ২৯ ঘণ্টা এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবেদন সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের এক নোটিশে জানানো হয়েছে, ‘সার্ভারের কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’ তবে এর আগেই আবেদন শুরু হয়েছে।

আবেদন করার নির্দেশিকা ও বিস্তারিত তথ্য জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (www.gstadmission.ac.bd) ও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন: ‘সেলফি জটিলতা’ কাটিয়ে একদিন পর গুচ্ছের ভর্তি আবেদন শুরু

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ)। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ছাড়া মাওলানা ভাসানি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ তালিকায় রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ