মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তরপত্র ছেঁড়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু আজ
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র ছেঁড়ার অভিযোগে গঠিত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবককে ডেকেছে কমিটি। এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. টিটো মিয়া কমিটি গঠনের তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এর সদস্য সচিব অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আলম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামাল হোসেন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (সরকারি মেডিকেল কলেজ) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ সালের শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রের শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়ার অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি মঙ্গলবার বেলা ১২টায় তদন্ত করবে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রমাণসহ যথাসময়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
গত রোববার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সেদিন দুপুরে ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ জানাতে অধিদফতরে ছুটে আসেন ওই শিক্ষার্থী ও পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী জানান, হুমাইরা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শেখ কামাল ভবনের অষ্টম তলার ৮২৩ নম্বর কক্ষে। পরীক্ষা শুরুর প্রায় ৪০ মিনিট পর হুমাইরার পাশে বসা এক পরীক্ষার্থীর থেকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়। এ সময় হলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা হুমাইরারও উত্তরপত্র কেড়ে নেন ও ছিঁড়ে ফেলেন।
দাবির মুখে যাচাই করে হুমাইরার উত্তরপত্র সঠিক ছিল বলে প্রমাণ হয়। পরে দুঃখ প্রকাশ করে তাকে নতুন একটি ওএমআর শিট দেয়া হয়। তবে তখন সময় ছিল অল্প। এতে হুমাইরার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। কক্ষের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির ভুলের শিকার হন ওই ভর্তিচ্ছু।
আরো পড়ুন: স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরে গিয়ে কান্না করা সেই ভর্তিচ্ছুর ঘটনা তদন্তে কমিটি
এসব অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীর অভিযোগ আমরা গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে আমরা ভর্তি কমিটির সঙ্গে কথা বলবো এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। কমিটি তদন্ত করে দেখবে আসলে পরীক্ষার দিন শেকৃবির হলে কী ঘটেছিলো।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনাক্রমে এ বিষয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।