ডেন্টাল ভর্তিতে যত আবেদন পড়ল
দেশের সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ এবং মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের বিডিএস কোর্সে ভর্তি আবেদন চলছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৪৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (বেসরকারি মেডিকেল কলেজ) ডা. উপল সীজার। তিনি বলেন, ডেন্টালে ভর্তির জন্য গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৬১৩ জন আবেদন করেছেন।
এর আগে গত সোমবার থেকে ডেন্টাল ভর্তি আবেদন শুরু হয়। ডেন্টাল ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ২০২৩ সালে এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান ও ২০২১ সালে এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান অথবা ২০২২ সালে এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান ও ২০২০ সালে এসএসসি/‘ও’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, শিক্ষার্থীকে এইচএসসি/‘এ’ লেভেল/সমমান পরীক্ষায় পাসের পূর্ববর্তী ২ (দুই) বছরের মধ্যে এসএসসি/ 'ও' লেভেল/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রার্থীকে নিয়মিত এসএসসি /‘ও’ লেভেল অথবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি /‘এ’ লেভেল অথবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ অবশ্যই জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থাকতে হবে। এসএসসি/ 'ও' লেভেল /সমমান এবং এইচএসসি/এ' লেভেল/সমমান দুটি পরীক্ষায় জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে।
উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি/ 'ও' লেভেল /সমমান এবং এইচএসসি 'এ' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম হলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। সবার জন্যে এইচএসসি/ 'এ' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে (Biology) ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ না থাকলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
১০০ (একশত) নম্বরের ১০০টি (একশত) এমসিকিউ প্রশ্নের ১ (এক) ঘন্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় বিষয় ভিত্তিক নম্বর বিন্যাস: জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়নবিদ্যা ২৫, পদার্থবিদ্যা ২০, ইংরেজি ১৫, সাধারন জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। ভর্তিযোগ্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি/'ও' লেভেল/সমমান ও এইচএসসি/'এ' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ণ করা হবে। এসএসসি/'ও' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১৫ গুন=৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)। এইচএসসি/'এ' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ২৫ গুন= ১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং অনুচ্ছেদ ০৭-এ বর্ণিত পদ্ধতিতে এসএসসি/'ও' লেভেল/সমমান ও এইচএসসি/'এ' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রণয়ন করা হবে।
পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি/'এ' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট (Aggregated) নম্বর থেকে ০৫ (পাঁচ) নম্বর বাদ দিয়ে এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর থেকে ১০ (দশ) নম্বর বাদ দিয়ে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
অনলাইনে আবেদন ফরম পূরন করার সময় নির্দেশাবলি www.dgme.gov.bd ও www.dghs.gov.bd ভালোভাবে পড়ে, বুঝে, নির্দেশনা অনুযায়ী সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষা ফি ১ (এক) হাজার টাকা শুধু প্রি-পেইড টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
অনলাইনে আবেদন শুরুর তারিখ ১৫ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ১০টা। অনলাইনে আবেদনের শেষ ৩ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট। অনলাইনে আবদনের ফি জমাদানের শেষ তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি (রোববার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট। প্রবেশ পত্র বিতরণ (ডাউনলোড পূর্বক রঙ্গিন প্রিন্ট) ২৫ হতে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষা ৮ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ১০টা হতে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার online ফরম পূরণের নিয়মাবলি ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mefwd.gov.bd, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgme.gov.bd, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd ও টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://dgme.teletalk.com.bd) জানা যাবে।
বাংলাদেশি নাগরিক যারা বিদেশি শিক্ষা (O Level / A Level) কার্যক্রমে এসএসসি/এইচএসসি এর সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তাদের মার্কশীটসমূহ বাংলাদেশে প্রচলিত জিপিএতে রূপান্তর করে Equivalence Certificate সংগ্রহ করার পর অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে পরিচালক, চিকিৎসা শিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী ঢাকা বরাবর ২ (দুই) হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডারসহ আবেদন (স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার কক্ষ নং ২০৪) করে Equivalence Certificate সংগ্রহ করার সময় ID নম্বর নিতে হবে।
Equivalence Certificate সংগ্রহ করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি এর সমমান পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র ও সনদপত্র এবং নম্বরপত্র ও সনদপত্রসমূহের প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত কপি সাথে আনতে হবে। ২০২৩-২৪ শিক্ষবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রদানকৃত Equivalence Certificate ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য।
বাংলাদেশী নাগরিক যারা বিদেশ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি এর সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের নম্বরপত্রসমূহ সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত দূতাবাস/হাইকমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়/পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ কর্তৃক আবশ্যিকভাবে সত্যায়িত হতে হবে। বাংলাদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি পাসপোর্টধারী শিক্ষার্থীগণ কোনোভাবেই বিদেশী শিক্ষার্থী হিসাবে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। তবে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশি নাগরিক শিক্ষার্থী এইচএসসি/ 'এ' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর দেশের বাইরে বিডিএস কোর্সে অধ্যয়ণ করতে চাইলে বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ পূর্বক ন্যূণতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। কোটার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটে এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৪ এর বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে।
পরীক্ষার্থীর যে কোনো কেন্দ্র হতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সমান সুযোগ নিশ্চিত করে। পরীক্ষায় অবতীর্ণ/উত্তীর্ণ/ নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর দেয়া তথ্য (যা ফলাফল নির্ধারণে বিবেচিত হতে পারে) অসম্পূর্ণ ও ভুল প্রমাণিত হলে তার পরীক্ষা/ফলাফল/ভর্তি যে কোনো সময় বাতিল বলে গন্য হবে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির পর দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে। শৃঙ্খলা পরিপন্থি অভিযোগ প্রমানিত হলে সংশ্লিষ্ট কলেজ একাডেমিক কাউন্সিল এর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য থাকবে। যে কোনো বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।