মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০-ই থাকল, আবেদন ফি এক হাজার
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০-ই থাকছে। ভর্তি আবেদন ফি বাড়েনি। আগের মতো ১ হাজার টাকা রয়েছে। আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের সময় আমরা তিনবার দিচ্ছি। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সবগুলো কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল।
এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষার কারণে মেডিকেল ভর্তি কোচিং ৯ জানুয়ারি থেকে এক মাস বন্ধ থাকবে বলে এসময় জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীরা ৪ জানুয়ারি থেকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশীয় ছাত্র-ছাত্রীরা যারা ভর্তি হতে চান, তারা ১১ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি ১০ তারিখে দেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ২৩ জানুয়ারি। ফি জমার শেষ তারিখ ২৪ জানুয়ারি।
তিনি বলেন, রোল নম্বর প্রদান, সিট প্ল্যানসহ এই বিষয়গুলো ২৬ জানুয়ারি হয়ে যাবে। প্রবেশপত্র বিতরণ হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। হাজিরা শিট ডাউনলোড করা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষা হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে।
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ১১ হাজার ৭২৮টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৫ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ হাজার ৩০টি সিট বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মোট আসন ৬ হাজার ৩৪৮টি। আর্মি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৩৭৫টি।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটু মিঞা, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।