ঢাবিতে এবারও সেকেন্ড টাইম থাকছে না
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় এবারো সেকেন্ড টাইম থাকছে না। বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২১ সন পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৩ সনের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার (সেকেন্ড টাইম) ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং সিন্ডিকেট মেম্বারদের স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম নিয়ে আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবির পক্ষে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে বেশ সরব ছিলেন। তাদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষায় সেকেন্ড টাইমারদের বসার সুযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কমে যাবে, এমন তো হওয়া কথা নয়। তাছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সাধারণ সভা শেষে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শুধু ওই বছর এইচএসসিতে উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবে। পুরাতনরা পারবে না।
এ সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি আরও বলেছিলেন, দুইবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিলে অসম প্রতিযোগিতা হয়। কারণ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিলে দেখা যায়, একজন শিক্ষার্থী এক বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়ে আর অন্যজন উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করেই ভর্তি পরীক্ষায় বসে।
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন আরও বলেছিলেন, আবার অনেক শিক্ষার্থী প্রথমবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে পুনরায় ভর্তি বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। ফলে যেখানে প্রথমবার ভর্তি হয়েছে, সেখানকার আসন ফাঁকা হয়ে যায়।
জানা যায়, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার (সেকেন্ড টাইম) ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ বন্ধ রয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা তখনও আন্দোলন করেছিল। এছাড়া এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক আদালতে রিটও করেছিলেন। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছে।