গুচ্ছে আরও মাইগ্রেশন দেওয়ার দাবি ভর্তিচ্ছুদের, যা বলছে কর্তৃপক্ষ
জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। রোববার (১৩ আগস্ট) থেকে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু করবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আরও মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত ২২ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত তিনটি মেধাতালিকা ও দু’টি মাইগ্রেশন দিয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। কেন্দ্রীয় মেধাতালিকা ও চয়েজ ফরম দেওয়াটা প্রশংসনীয়। তবে তৃতীয় মেধাতালিকার পর ১৩ ও ১৪ আগস্ট থেকে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় চূরান্ত ভর্তির তারিখ দিয়েছে। কৃষিগুচ্ছের ফল প্রকাশ হয়েছে ৯ আগস্ট। কৃষির ভর্তি শুরু হলে জিএসটি গুচ্ছ থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী চলে যাবে।
ফলে গুচ্ছের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ফাঁকা থাকবে। রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিও শেষ হয়নি। গুচ্ছভুক্ত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত ভর্তি ও ক্লাস শুরুর তারিখ দিয়েছে। এক্ষেত্রে গুচ্ছে মাইগ্রেশনে জটিলতা দেখাদিচ্ছে। চূড়ান্ত ভর্তি নিয়ে মাইগ্রেশন বন্ধ করে দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের নম্বর অনুযায়ী ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।
এ অবস্থায় তিনটি দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। তা হলো- কৃষিগুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত জিএসটি গুচ্ছের চূড়ান্ত ভর্তি পেছানো এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় রেখে ভর্তি কার্যক্রম মেরিট ও মাইগ্রেশন মেধাক্রম অনুযায়ী চালু রাখা; যদি চূড়ান্ত ভর্তি নেওয়া হয়, তাহলে এরপরও মাইগ্রেশন বহাল রাখা এবং তা কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশ করা এবং আসন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষমান তালিকা হতে শিক্ষার্থী কল করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজ শনিবার (১২ আগস্ট) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘মাইগ্রেশনের বিষয়টি আমার একার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। কমিটির পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, গত বছর অনেক মাইগ্রেশন দেওয়া সময় নষ্ট হয়েছে। আমরা এখন দ্রুত ক্লাস শুরু করতে চাচ্ছি। ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপেই ৭৫ শতাংশ ভর্তি হয়েছে। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস শুরু হবে।