২৬ জুন ২০২৩, ২০:৫৫

কলেজের স্নাতকধারী ইতি বুয়েটের স্নাতকোত্তর ভর্তিতে প্রথম

  © সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে গণিত বিভাগ থেকে গ্র্যাজুয়েশন (স্নাতক) সম্পন্ন করা জান্নাতুল ফেরদৌসী ইতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) একই বিভাগের স্নাতকোত্তর ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন। গত শনিবার (২৪ জুন) বুয়েটের ওয়েবসাইটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে ইতির প্রথম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার আবেদন ক্রমিক নম্বর ৯০০৭৯।

জানা গেছে, ইতির বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোরগাছ বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মো. চান মিয়া ও কাজল বেগম দম্পতির মেয়ে। ২০১৩ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে জিপিএ-৪.৫৮ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন ইতি।

এরপর ২০১৬-১৭ সেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গণিত বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি জিপিএ-৩.৯৩ (আউট অব ৪) নিয়ে অনার্স পাস করেন। পরে তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে একই বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন।

বুয়েটে স্নাতকোত্তরে ভর্তি পরীক্ষায় এমন সাফল্যের বিষয়ে ইতি বলেন, বুয়েটের ওয়েবসাইটে ভর্তি পরীক্ষার এই ফল প্রকাশিত হয়। ফল শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে তালিকা দেখে নিশ্চিত হলাম যে নামটা আমারই। আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম তখন।

তিনি আরও বলেন, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করার ইচ্ছা ছিল। এরপর এবার বুয়েটের গণিত বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দিই। আল্লাহর অশেষ রহমতে সুযোগ পেয়েছি।

ইতি বলেন, বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি হলেও এখন তা বাতিল করে বুয়েটে ভর্তি হব। আমার ইচ্ছে, বিসিএস করে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করব। তবে ভবিষ্যতে গবেষণা করার সুযোগ পেলে তা করার ইচ্ছে রয়েছে।

কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘ফল প্রকাশের পর ইতি ফোন করে সুসংবাদটি জানিয়েছে। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে সে জিপিএ-৪ পাওয়ার পর আমরা তার প্রতি আরও যত্নশীল হই। ফাইনালেও তার ফলাফল ভালো। তার সাফল্যে আমরা আনন্দিত। আমরা ইতির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এটা অবশ্যই আনন্দ ও গৌরবের খবর। কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে আমরা একদিন সাফল্যে ভরে উঠব। ইতিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই।