একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সাড়া নেই ৪৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে মতামত চেয়ে গত ৩০ এপ্রিল ৫৩টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানতে চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মতামত জানিয়েছিল শুধুমাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে ১৫ জুনের মধ্যে মতামত জানানোর নির্দেশনা জানিয়ে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। কিন্তু বর্ধিত সময়সীমা শেষ হলেও এখনও এ বিষয়ে কোনো মতামত জানায়নি ৪৮টি বিশ্ববিদ্যালয়।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত মাত্র ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় মতামত জানিয়েছে। মতামত জানানো ৫ বিশ্ববিদ্যালয় হল- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এন্ড এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এন্ড এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় চিঠিতে তাদের বিশেষত্ব এবং একক ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের বিষয় উল্লেখ করেছে। এছাড়া অপর ৪ বিশ্ববিদ্যালয় একক ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক মতামত জানিয়েছে।
আরো পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
এ বিষয়ে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের দ্রুত সময়ে আবারও মতামত জানাতে বলা হবে। পরবর্তীতে উপাচার্যদের মতামত পর্যালোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদের নির্দেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে ইউজিসিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এর আগে ৩ এপ্রিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে শিক্ষামন্ত্রী এবং ইউজিসির এক সভায় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) মাধ্যমে এ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এনটিএর বিষয়ে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষাগুলো যেমন বিভিন্ন বোর্ডের অধীনে নেওয়া হয় এটিও তেমন একটি সংস্থা হবে। দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়টি এনটিএর মাধ্যমে হবে। প্রথম পর্যায়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আওতাভুক্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও এর আওতায় আনা হবে। জাতীয় সংসদে এর জন্য একটি আলাদা নীতিমালা পাস হবে এবং সেই অনুযায়ী এটি কাজ করবে।