জবির চার কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৫৭১ জন
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ (মানবিক) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ মে) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য কেন্দ্রের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ৪টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৪ কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিল ৫৭১ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি কেন্দ্রে মোট ২১ হাজার ৬৫ জনের আসন বিন্যাস সাজানো হয়েছিল। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২০ হাজার ৪৯৪ জন পরীক্ষার্থী।
জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৮৪৫ জনের আসন বিন্যাস সাজানো হয়েছিল। তার মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১২ হাজার ৫০৫ জন। তিনটি উপকেন্দ্রের মধ্যে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে ৩ হাজার ৩৯৬ জনের আসন বিন্যাস সাজানো হলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩ হাজার ৩০২ জন, নটর ডেম কলেজে ৩১০৪ জনের মধ্যে পরীক্ষা দেয় ৩০২৭ জন এবং উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭২০ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস সাজানো হলেও এই উপকেন্দ্রে ১৬৬০ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। অর্থাৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ কেন্দ্রে মোট ৫৭১ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। অর্থাৎ উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯৭.২ শতাংশ।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল এবং সহকারী প্রক্টরবৃন্দ।
আগামী ২৭ মে বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট ও ৩ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সর্বপ্রথম দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নেয়। তবে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নতুন যুক্ত হয় কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।