গুচ্ছ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত যবিপ্রবি, পরীক্ষার্থী ৩৭০০
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২০২৩ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিতে সবধরণের প্রস্তুতি শেষ করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত এ ভর্তি কার্যক্রমে এ বছর মানবিক বিভাগের পরীক্ষায় যবিপ্রবি কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করবে প্রায় ৩৭০০ শিক্ষার্থী। আগামী ২০ মে গুচ্ছের প্রথম ধাপের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় যবিপ্রবিতে সর্বমোট ৮০০০ জন শিক্ষার্থীর আসন পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত গ্রন্থাগার কাম একাডেমিক ভবন, ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক থাকবে।
ভর্তি পরীক্ষা কমিটির টেকনিক্যাল প্রধান ড. সৈয়দ মুহাম্মাদ গালীব বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে আমাদের নিরাপত্তা কমিটিও করা আছে। আশা করি আমরা সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা কর্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২০ মে
ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতির বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে যবিপ্রবি ইতিমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি বলেন, যানবাহন নিয়ন্ত্রন করার জন্য ট্রাফিক পুলিশ, শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠেয় সকল ভবনের প্রবেশমুখে বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ থাকবেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করবেন।
জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ২০ মে মানবিক বিভাগের, ২৭ মে বিজ্ঞান বিভাগের এবং ৩ জুন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ডিভাইস সংক্রান্ত জালিয়াতি ঠেকাতে শিক্ষক-কর্মকর্তার সমন্বয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে যারা সার্বক্ষনিক তদারকি করবেন। পরীক্ষার সময় কোনো পরীক্ষার্থী বা দায়িত্বরত কেউই মুঠোফোনসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে বা অসাধুপায় অবলম্বন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।