০৩ মে ২০২৩, ২২:৫৫

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আসনপ্রতি সর্বোচ্চ লড়বে বিজ্ঞানে, সর্বনিম্ন বাণিজ্যে

  © ফাইল ছবি

গুচ্ছের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে আসনপ্রতি লড়বে ১৭ জন, মোট আবেদন করেছে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯৩৩ জন। ‘খ’ ইউনিটে আসনপ্রতি লড়বে ১৩ জন, মোট আবেদন করেছে ৯৬ হাজার ৪৩৪ জন । ‘গ’ ইউনিটের জন্যে আবেদন করেছে ৩৯ হাজার ৮৬৪ জন, আসন প্রতি লড়বে ১২ জন করে।

প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে গড় ১৫ জন শিক্ষার্থী। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২১ হাজার ১১৮ টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন করেছে ৩ লক্ষ ৩ হাজার ২৩১ জন। বিষয়টি দি ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

তিনি আরও জানান, মানবিকের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২০ মে, বাণিজ্যের (‘সি’ ইউনিট) ২৭ মে এবং বিজ্ঞানের (‘এ’ ইউনিটের) ভর্তি পরীক্ষা ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছ ভর্তি কমিটির এক সদস্য বলেন , মেধা তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে ভর্তির কার্যক্রম শেষ করবেন। আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাঠদান শুরু করার চেষ্টা করবেন। 

ইতোমধ্যে গুচ্ছের ভর্তির পরীক্ষার একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। 

মেধাতালিকায় স্থান পেতে শিক্ষার্থীদের এবার ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম ৩০ নম্বর পেতে হবে। ১০০ মার্কের  ১০০ টি বহু নির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। 

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নম্বরসহ এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ মোট নম্বর এবং বিভিন্ন বিষয়ের জিপিএ বা নম্বর বিবেচনায় মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে। শুধুমাত্র গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই পরবর্তীতে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবে।

২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যেকোনও একটি কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরবর্তীতে পরিবর্তন করা যাবে না। সময়ক্ষেপণ রোধে এবার একটি মেধাতালিকা ও আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি অপেক্ষমান তালিকা হতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হবে।