ওএমআর দেখা শেষ করেছে বুয়েট, ফল হতে পারে কাল
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট দেখার কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আগামীকাল রোববার বিকালে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
শনিবার (১১ মার্চ) বুয়েট এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার ৪০৪ জন। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বুয়েটের সিএসই বিভাগ দেখা শেষ করেছে। ওএমআর শিটগুলো এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ দেখছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, ঢাবির সিএসই বিভাগ ওএমআর শিট স্ক্রিনিংয়ের জন্য ইনপুট দেওয়ার কাজ শেষ করেছে। রাতের মধ্যেই এই কাজ শেষ হওয়ার কথা। রাতে স্ক্রিনিং শেষ হলে রোববার (১২ মার্চ) বিকালে ফল প্রকাশ করা হবে। রাতে কাজ শেষ করতে না পারলে সোমবার (১৩ মার্চ) ফল প্রকাশ করা হবে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ করছে বুয়েট। তবে আমরা এটি ডাবল চেক করার জন্য ঢাবিকেও দেখাই। এখন ঢাবি ওএমআর শিটগুলো স্ক্রিনিং করছে।
আগামীকাল রোববার ফল প্রকাশ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটি এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। ঢাবি যদি আজ রাতের মধ্যে স্ক্রিনিংয়ের কাজ শেষ করতে পারে, তাহলে আগামীকাল বিকালে ফল প্রকাশ করা হবে। আজ কাজ শেষ করতে পারলে ফল সোমবার (১৩ মার্চ) প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার (১০ মার্চ) সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানী ছাড়াও ১৪টি জেলা শহরে মেডিকেল কলেজের এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শহরগুলোর মধ্যে ছিল- রাজশাহী, পাবনা, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনা, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও গোপালগঞ্জ।
বর্তমানে দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসে চার হাজার ৩৫০টি আসন রয়েছে। মেধা কোটায় তিন হাজার ৩৮৪ জন, জেলা কোটায় ৮৪৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭ জন ও উপজাতি কোটায় ৩৩ জন ভর্তির সুযোগ পাবেন।
এছাড়া ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছয় হাজার ৭৭২টি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থী মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর প্রদান করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর।