০৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৭

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে কান না দেওয়ার আহবান

ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

আগামী ১০ মার্চ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। একই সাথে গুজব ছড়ানো হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদেধ তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে। সুষ্ঠু পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল সজাগ রয়েছেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর রয়েছে। প্রতারকচক্রের অনৈতিক প্রলোভনে সাড়া না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা যাচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এতে বলা হয়, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুযোগ নাই। পরীক্ষার্থীদেরকে গুজবে বিশ্বাস না করে, প্রতারণার জালে পা না দিয়ে নিবিড়ভাবে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে নিজ যোগ্যতা প্রদর্শনের জন্য উপদেশ দেওয়া যাচ্ছে।

বার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ১০ মার্চ সকাল ১০টায় দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এক যোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকল পরীক্ষার্থীকে ৯:৩০ মিনিটের পূর্বেই পরীক্ষার প্রবেশপত্র, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র/রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং রিফিল দেখা যায় এমন কালো বলপয়েন্ট কলম নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। ৯:৩০ মিনিটের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঘড়ি, মোবাইল বা অন্য কোনো ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য এটা প্রযোজ্য।

পরীক্ষা আয়োজন করে ঘিরে যে কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে নোটিসে আহ্বান করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রতারকচক্রের কোন অবৈধ কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম টেলিফোন নং-+৮৮০2222285933, ২২২২৮৫৯৩৩ মোবাইল নং ০১৭৫৯-১১৪৪৮৮ এবং ০১৭৬৯-৯৫৪১৩৭ নম্বরে এবং নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানোর জন্য সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। সার্বিকভাবে একটি পরিচ্ছন্ন ভর্তি পরীক্ষার সফল বাস্তবায়নে সকল মহলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।’