এবারও দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ থাকছে না ঢাবিতে
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তির ক্ষেত্রে এবারও সুযোগ রাখা হয়নি দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছুদের (সেকেন্ড টাইমারদের)। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। যদিও, বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ বন্ধ রয়েছে এবং কতৃপক্ষও এটি অব্যাহত রাখার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বরাবরই দাবি থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তির ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার ভর্তি সুযোগের জন্য। বিষয়টি এবারও আলোচনায় ছিল বিগত কয়েকদিন আগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে। তবে, আজকের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির পর দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ না থাকার বিষয়টি অব্যাহতহই থাকলো।
ঢাবি ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিটে ভর্তির জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে কেবল তারাই ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট (স্নাতক) প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি প্রার্থীরা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪ টা থেকে ২০ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন ফি ১০০০/- (এক হাজার) টাকা। চারটি রাষ্ট্রায়ত্ব বানিজ্যিক ব্যাংকের (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী) যে কোন শাখায় অথবা অনলাইনে ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সেবা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা আবেদন ফি জমা দিবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে আগামী ৫ মে কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা ১২ মে; ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৯ এপ্রিল। সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
ভর্তির ক্ষেত্রে এবার বিজ্ঞান ইউনিটে মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ৮.০০; কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ৭.৫ এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এ জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল থাকতে হবে ন্যূনতম ৭.৫। তবে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ হলে চারুকলা ইউনিটে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে কোটায় ভর্তির বিষয়ে জানানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর ওয়ার্ড কোটা (কেবল ছেলে/মেয়ে/স্বামী/স্ত্রী), উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধি (দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, শারীরিক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস, ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া), মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনীসহ খেলোয়াড় (শুধুমাত্র বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীদের) কোটায় ভর্তি প্রার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ঐ ইউনিটের ডিন অফিস থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদর্শন পূর্বক নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করতে হবে। কোটার নির্ধারিত ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে যে কোটায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক তার প্রত্যয়নপত্র/সনদপত্র/ প্রমাণপত্রসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের অফিসে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে হবে।
অনলাইনে ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে সাধারণ তথ্য (সকল আবেদনের জন্য যেকোন ইউনিটে ভর্তির আবেদন https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েব সাইট থেকে করা যাবে। ভর্তির আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিকের তথ্য, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (ঐচ্ছিক), শিক্ষার্থী যে বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আগ্রহী, কোটা এবং স্ক্যান করা একটি ছবির প্রয়োজন পড়বে। ভর্তির আবেদন ফি তাৎক্ষনিক অনলাইনে বা চারটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জমা প্রদান করা যাবে। আবেদন ফি অফেরতযোগ্য। আবেদন ও ফি জমার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উক্ত ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে।