মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চান এসএসসি-১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৫০ PM , আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৫০ PM
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দাবি করেছেন ২০১৮ সালে এসএসসি এবং ২০২১ সালে এইচএসসি উত্তীর্ণরা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই দাবিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে তারা জানান, আমরা ২০১৮ সালে এসএসসি এবং ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। কোভিড-১৯ এর মহামারীতে যথাযথ প্রস্তুতির অভাবে ও বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার কারণে অনেকেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে ব্যর্থ হই। তাছাড়া ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে অটোপাস দেওয়া হয়। সাবজেক্ট ম্যাপিং এর কারনে অনেকের ফলাফল খারাপ হয়। পরবর্তীতে আমরা ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে সর্বোচ্চ সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হই এবং একই বছরে আমরা ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।
কিন্তু প্রথমবার আমরা সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পেতে ব্যর্থ হই। গত বছরের নীতিমালা (এইচএসসি এর পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের মধ্যে এসএসসি) অনুযায়ী ২য় বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যাবে এই নীতিমালা-কে লক্ষ্য রেখে আমরা ২য় বারের জন্য মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করি এবং অনেকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিযোগ্য হয়েও ভর্তি হয়নি যেহেতু ২য় বার (বিগত নীতিমালা অনুসারে) ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আছে। এমনকি আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোথাও ভর্তি হইনি।
গতবছর প্রকাশিত নীতিমালায় যেহেতু কোথাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি যে এই নিয়ম শুধু গত বছরের জন্যই প্রযোজ্য, তাই আমরা অন্য কোথাও ভর্তি না হয়ে নিশ্চিন্তে ২য় বার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি।
সম্প্রতি পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল এর মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, এসএসসি-২০১৮ এবং এইচএসসি-২০২১ ব্যাচকে ২য় বার পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে না। এখবর শুনে হাজারো শিক্ষার্থীর মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আমাদের অভিভাবকেরা চরম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। হঠাৎ এরকম খবর যেনো আমাদের জন্য “বিনা মেঘে বজ্রপাত’’ এর মত। এমতাবস্থায় আমাদের যদি ২বার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের দীর্ঘ ১২ বছরের পরিশ্রম ও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। যার খেসারত সারাজীবন ধরে দিতে হবে। এই অবস্থায় আমরা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় গত বছরের নীতিমালা বহাল চাই।