মাইগ্রেশন নিয়ে গুচ্ছের আগের সিদ্ধান্তই বহাল
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সপ্তম মেধাতালিকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধের পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে গুচ্ছ ভর্তি সংক্রান্ত মূল কমিটি। যদিও টেকনিক্যাল কমিটির অধিকাংশ সদস্য এই সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় গুচ্ছের মূল কমিটির সভায় গুচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন।
সভায় উপস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সপ্তম মেধাতালিকা থেকে গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটিই বহাল রাখা হয়েছে। এটি পরিবর্তন হচ্ছে না। গুচ্ছভুক্ত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাইগ্রেশন বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ না করলে ক্লাস শুরুর প্রক্রিয়া অনেক পিছিয়ে যাবে। এতে সেশনজট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ভর্তি কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে সপ্তম মেধাতালিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধন্তের কথা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় গুচ্ছ কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সপ্তম মেধাতালিকা থেকে ভর্তিচ্ছুরা গুচ্ছভুক্ত এক বা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হলে তাকে অবশ্যই তার পছন্দমত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় গুচ্ছভুক্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না।
এই পর্যায় থেকে প্রাথমিক ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে না (বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ)। ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিভাগ পছন্দক্রম ও মেধা স্কোরের ভিত্তিতে প্রযোজ্যক্ষেত্রে বিভাগ মাইগ্রেশন চলমান থাকবে।